আবারও সমস্যায় বাবা রামদেব। পড়তে চলেছেন আইনি সমস্যায়। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে একটি আবেদন দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, ব্র্যান্ডের টুথ পাউডার- যেটা ভেষজ বলে দাবি করা হয়েছে সেটিতে পাওয়া গেছে মাছের নির্যাস।
পতঞ্জলির দাঁত মাজার পাউডার 'দিব্য মঞ্জন'-এ নিরামিষ ও আয়ুর্বেদিক পণ্য বলে দাবি করা হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। এই বিষয়টিকেই হাইলাইট করে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে এই দিব্য মঞ্জনে সামুদ্রিক মাছের নির্যাস পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে অভিযোগ তুলে আইনজীবী ইয়াতিন শর্মা অভিযোগ দায়ের করেন দিল্লি হাইকোর্টে। তারপরই দিল্লি কোর্টের তরফ থেকে পতঞ্জলিতে একটি আইনি নোটিশ পাঠান হয়েছে।
আইনজীবী তাঁর অভিযোগে বলেছেন, পতঞ্জলির দিব্যা মাঞ্জনে প্যাকেজিংয়ের একটি সবুদ বিন্দু রয়েছে। এটি নিরামিষ পণ্যের একটি প্রতীক। তবুও এই পণ্যের উপাদনগুলিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে,দাঁতের পাউডারে সেপিয়া অফিশনালিস রয়েছে। আবেদনকারী আরও দাবি করেছেন, এটি একটি ভুল ব্র্যান্ডিং। এখানে ড্রাগস ও প্রসাধনী আইনের লঙ্ঘন করা হয়েছে। আইনজীবী বলেছেন, এই বিষয়টি তাঁর ও তাঁর পরিবারের কাছে খুবই কষ্টের। কারণ তারা এমন ধর্মীয় বিশ্বাস মেনে চলেন যেখানে আমিষ জাতীয় উপাদান খাওয়া নিষিদ্ধ। আইনজীবী আরও দাবি করেছেন, রামদেব বাবা নিজেই একটি ইউটিউব ভিডিওতে স্বীকার করেছেন যে দিব্যা মাঞ্জনে সামুদ্রিক মাছর অংশ ব্যবহার করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা FSSAI, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন ও আয়ুষ মন্ত্রক -সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কাছে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু সেখানে কোনও পদক্ষেপ করা হয়েনি। তাই তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আবেদন গ্রহণ করার পরে দিল্লি হাইকোর্ট পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ, বাবা রামদেব ও কেন্দ্রীয় সরকার ও পতঞ্জলির দিব্য ফার্মেন্সিকে নোটিশ পাঠিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৮ নভেম্বর ধার্য করেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।