ভারতের ২০০ একর জমি নিয়ে নিল বাংলাদেশ? বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস, হইচই সব মহলে
ভারতের জমি বাংলাদেশের কবজায়? এক একর, বা দু একর নয়! পুরো ২০০ একর নাকি বাংলাদেশের কাছে চলে যাচ্ছে! এই বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস হতেই হইচই সব মহলে। জানেন কী হতে চলেছে?
গঙ্গা ও পদ্মার ভাঙনের কারণে ভারত ও বাংলাদেশের শত শত বিঘা জমি জলের নিচে চলে যাচ্ছে।
ভাঙনের কবলে পড়ে জলের নিচে চলে যাওয়া এমনই একটি বিশাল জমি বাংলাদেশকে ফেরত দিতে যাচ্ছে ভারত।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে প্রায় ২০০ একর এলাকা। রোববার বিএসএফ ও বিজিবির বৈঠকে একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবির ৪৭তম ব্যাটালিয়নের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান এ তথ্য জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার জমি পদ্মা নদী ঘেঁষা এবং পদ্মা নদীর ভাঙনে ওই এলাকা পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় ।
মেহবুব রহমান জানান, জমি পরিমাপ করে মালিকদের ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে ২০০ একর এবং ভারতের ৪০ একর জমির মধ্যে গরমিল রয়েছে।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠক হয়। মাদক পাচার ও সীমান্ত হত্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে কমান্ডার বারাকিম দেব সিং নেতৃত্ব দেন।
কর্নেল মাহবুব মোর্শেদ রহমান বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারির সমীক্ষায় বাংলাদেশের পাওনা প্রায় ২০০ একর এবং ভারতের পাওনা প্রায় ৪০ একর জমির গরমিল ধরা পড়েছে ।
উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার আগামী অক্টোবরে একটি সুবিধাজনক সময়ে সার্ভেয়ার, বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে এটি পুনরায় সমীক্ষা করে সঠিক মালিকদের কাছে হস্তান্তর করতে সম্মত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তের বিরোধপূর্ণ অংশটি নদী এলাকা হওয়ায় পদ্মার ভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দুই দেশের মধ্যে সঠিক সীমানা নির্ধারণে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
দুই দেশের প্রচেষ্টায় এর সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে। সঠিক সীমানা দ্রুত নির্ধারণ করা হবে।
বোঝা না যাওয়া পর্যন্ত কেউ জমি ব্যবহার করতে পারবে না। সীমান্তে বিএসএফকে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।