Bhopal gas tragedy: ভোপাল গ্যাস-কাণ্ডে 'আরও ক্ষতিপুরণ' মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারের
ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনাকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে আবারও বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার।মূল অভিযুক্ত ইউনিয়ন কার্বাইড থেকে আরও ক্ষতিপুরণ আদায়ের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
Web Desk - ANB | Published : Mar 14, 2023 9:32 AM IST / Updated: Mar 14 2023, 03:14 PM IST
ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা
১৯৯৪ সালে। ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানা থেকে লিক করেছিল বিষাক্ত গ্যাস। ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৩ হাজার মানুষের। বিশ্বের সবথেকে খারাপ শিল্প বিপর্যয়গুলির মধ্যে এটি একটি ।
কেন্দ্রের দাবি
কেন্দ্রীয় সরকার চেয়েছিল ভোপাল গ্যাস ট্রাজেডির মামলাটি পুনরায় চালু হোক। ইউনিয়ন কার্বাইডের উত্তরসূরী সংস্থাগুলি যাতে গ্যাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আরও ক্ষতিপুরণ দেয় তারই আবাদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার ৭৮৪৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত ক্ষতিপুরণের আবেদন জানিয়েছিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি
কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি ছিল ১৯৮৯ সালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বসতি স্থাপনের সময় মানুষের জীবন ও পরিবেশের প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করা হয়নি। তাই নতুন করে ক্ষতিপুরণের আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
আবেদন প্রত্যাখ্যান
এম মামলা চলেছিল পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। বেঞ্চ আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মীমাংসা শুধুমাত্র জালিয়াতির ভিত্তিতেই আলাদা করা যেতে পারে। কেন্দ্র এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে কোনও যুক্তি দেয়নি।
আদালতের আরও বক্তব্য
সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন কেন্দ্র দুই দশক পরেও এই বিষয়টি উত্থাপনের জন্য কোনও যুক্তি খাড়া করেনি। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাথে পড়ে থাকা ৫০ কোটি টাকা মুলতবি ক্ষতিপুরণের জন্য ব্যবহার করা হোক।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য
দুই দশক পরে এই সমস্যাটি উত্থাপন করার জন্য কোনও যুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর অসন্তুষ্ট... আমরা মনে করি যে কিউরেটিভ পিটিশনগুলি গ্রহণ করা যায় না। বেঞ্চ আরও বলেছে, যদি এটি আবারও খোলা হয় তবে এটি একটি প্যান্ডোরার বক্স খুলতে পারে, যা দাবিকারীদের জন্য ক্ষতিকারক হবে।
পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ
বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউলের নেতৃত্বে এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি অভয় এস ওকা, বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি জে কে মহেশ্বরের সাংবিধানিক বেঞ্চ ১২ জানুয়ারি পিটিশনের ওপর তাদের রায় সংরক্ষণ করেছিল। এদিনই রায় দান করা হয়।
ইউনিয়ন কার্বাইডের বক্তব্য
ইউনিয়ন কার্বাইডের উত্তারাধিকারী সংস্থাগুলির হয়ে সওয়াল করেছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট হরিশ সালভে। তিনি আদালতকে বলেছিলেন ১৯৮৯ সাল থেকে টাকার অবমূল্যায়ন এখন ক্ষতিপুরণের টপ-আপ চাওয়ার ভিত্তি হতে পারে না। তিনি আরও বলেছিলেন, যে বন্দোবস্ত করা হয়েছিল তা পর্যাপ্ত নয় বলে কেন্দ্রীয় সরকার আগে কখনই জানায়নি।
১৯৯৮এ ক্ষতিপুরণ
ইউনিয়ন কার্বাইড ১৯৯৮ সালে বিষয়টির জন্য ৭১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দিয়েছিল। বর্তমানে ডাব ক্যামিক্যাল হল ইউনিয়ন কার্বাইডের একটি উত্তরসূরী সংস্থা।
দুর্ঘটনায় সেই ভয়ঙ্কর দিন
১৯৮৪ সালের ২ ডিসেম্বর ভোপালের ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানা থেকে বিষাক্ত মিথাইল আইসোসায়ানেট গ্যাস লিক হয়। তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং এক লাখেরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউনিয়ন কার্বাইডের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওয়ারেন অ্যান্ডারসন মামলার প্রধান অভিযুক্ত হলেও তিনি কোনও দিনই বিচারকের সামনে হাজিরা দেননি। ১৯৯২ সালে ভোপালের একটি আদালত তাঁকে পলাতক ঘোষণা করেছিল। ২০১৪ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই সময়ও তার নামে দুটি জামিন অ-যোগ্য পরোয়ানা জারি করা হয়।