আবেদনকারী মহিলা যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিনি ইতিমধ্যে দুই সন্তানের মা এবং দীর্ঘদিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছেন। নিজের মানসিক ও আর্থিক অবস্থার কথা জানিয়ে তৃতীয় সন্তানের জন্ম না দেওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন ওই মহিলা।
সোমবার একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত একজন মহিলাকে তার ২৬ সপ্তাহের গর্ভপাতের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে। AIIMS রিপোর্টে বলা হয়েছে যে শিশুটি গর্ভে স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। এরপরেই আদালত এই সিদ্ধান্ত নেয়।
বুধবার এ বিষয়ে শুনানি হলেও সে সময় দুই সদস্যের বেঞ্চের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি। এ বিষয়ে দুই বিচারপতির মধ্যে ঐক্যমত্য না থাকায় তা প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। জেনে রাখা ভালো যে ৯ অক্টোবর, সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের একটি বেঞ্চ বিবাহিত মহিলাকে তার ২৬ সপ্তাহের ভ্রূণ গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল। আবেদনকারী মহিলা যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিনি ইতিমধ্যে দুই সন্তানের মা এবং দীর্ঘদিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছেন। নিজের মানসিক ও আর্থিক অবস্থার কথা জানিয়ে তৃতীয় সন্তানের জন্ম না দেওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন ওই মহিলা। তিনি সুপ্রিম কোর্টে বলেছিলেন যে তিনি তার তৃতীয় সন্তানকে সঠিকভাবে লালন-পালন করতে পারবেন না।
মহিলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এইমসের স্ত্রীরোগ বিভাগকে মহিলাকে পরীক্ষা করে গর্ভপাত করার নির্দেশ দিয়েছিল। ওই নারীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় চিকিৎসকের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ভ্রুণ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এইমসের আগের রিপোর্টেই এটা উল্লেখ করা উচিত ছিল। কারণ রিপোর্ট আগে আসলে আমরা অন্যভাবে চিন্তা করতাম।
বুধবার এই মামলার শুনানির সময়, বিচারপতি হিমা কোহলি একটি সন্তানের জন্ম দেওয়ার পক্ষে ছিলেন, যখন বিচারপতি বিভি নাগারথনা বলেছিলেন যে তিনি আবেদনকারী মহিলার অধিকার এবং ইচ্ছার পক্ষে। বিচারপতি নাগারথনা বলেছেন যে বিচারপতি হিমা কোহলির মতামত থেকে তার আলাদা মতামত রয়েছে। মন্তব্য করে তিনি বলেন, যদি এইমসের রিপোর্ট আগে আসত, তাহলে আমরা অন্যভাবে চিন্তা করতাম এবং আমাদের ৯ অক্টোবরের আদেশ একই হতো না।