মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য যৌথ বাহিনীর। সোমবার ভোরে মাওবাদী বনাম যৌথবাহিনীর গুলির লড়াইয়ে ৫ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।
মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য যৌথ বাহিনীর। সোমবার ভোরে মাওবাদী বনাম যৌথবাহিনীর গুলির লড়াইয়ে ৫ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।
লোকসভা ভোট মিটতেই মাওবাদী (Maoist) দমনে আরও কড়া অবস্থান নিল কেন্দ্র (Central Government)। ছত্তিশগড়ের পর এবার ঝাড়খণ্ড। মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ জনকে। তাদের ডেরা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক।
ওই এলাকায় মাওবাদী দমনে ঝাড়খণ্ডের বিশেষ বাহিনী ‘জাগুয়ার’কে নিয়ে এদিন সকালে একেবারে সিপিআই (মাওবাদী) শিবিরে হানা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কার্যত যৌথবাহিনীর মুখোমুখি পড়ে যায় মাওবাদী স্কোয়াডের সদস্যরা। তারপরই তারা গুলি ছুঁড়তে থাকে। যৌথবাহিনীও পাল্টা জবাব দেয়। আর তাতেই মৃত্যু হয় ৫ মাওবাদীর।
যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন হল টাইগার ওরফে পান্ডু হাঁসদা। তাঁর বাড়ি হাতনাবুরুতে। অন্য আরেকজন স্কোয়াড সদস্যের নাম হল বটারি বানরা। সে মূলত সরজমবুরুর বাসিন্দা। সিপিআই (মাওবাদী) পলিটব্যুরো সদস্য মিশির বেসরার স্কোয়াড ছিল এটি। এই মাও নেতার মাথার দাম প্রায় এক কোটি টাকা। তাছাড়া এই স্কোয়াডে ছিল রিজিওনাল সদস্য আনমল এবং মচু।
এছাড়াও চমনা কাণ্ডে এবং অজয় মাহাতোর মতো স্কোয়াড সদস্যরাও ছিল। চাইবাসার কোলহান রেঞ্জের গুয়া এবং গেটায়া থানার লিপুঙ্গা, কুলাসাই, ঘিরঝোর, রাইকা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য পায় যৌথবাহিনী (Central Force)। ওই মাও শিবির থেকে দুটি এসএলআর, একটি ইনসাস, একটি ৩০৩ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়াও দুটি বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল, একটি নাইন এমএম পিস্তল, ১৩টি ডিটোনেটর উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। সেইসঙ্গে, নকশাল সাহিত্যের নথিপত্র এবং ওষুধ সহ আরও নানা জিনিসপত্র পাওয়া গেছে। রবিবার রাতে চাইবাসা পুলিশের কাছে খবর আসে যে, কোলহান রেঞ্জ এলাকায় ওই নাশকতার ছক কষছে মাওবাদীরা।
তারপরই ঝাড়খণ্ডের চাইবাসা জেলার পুলিশ ‘ঝাড়খণ্ড জাগুয়ার’, কোবরা ২০০ নম্বর ব্যাটেলিয়ান এবং সিআরপিএফ (CRPF) ২৬ নম্বর ব্যাটেলিয়ান, একসঙ্গে একটি টিম তৈরি করে হামলা চালায় মাওবাদীদের ওপর। আর সেই অভিযানেই এবার বড় সাফল্য পেল যৌথবাহিনী।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।