কাউন্টডাউন শুরু করে দিতে পারেন বিহারেরে বাসিন্দারা। রেকর্ড তৈরি করে ১৬ নভেম্বর অর্থাৎ আগামী সোমবার ৬বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন নীতিশ কুমার। তিন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম শপথ গ্রহণ করেছিলেন ২০০০ সালে। কিন্তু তৎকালী বিহারের চলত লালুপ্রসাদ যাদবের রাজ। সেই সময় মাত্র ৭ দিন স্থায়ী হয়েছিল তাঁর কার্যকাল। পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন লালু-পত্নী রাবড়ি দেবী। তারপর ২০০৫ সালে ফিরে এসে একটানা ৮ বছর ক্ষমতায় ছিলেন নীতিশ কুমার। পরের দফায় ২০১৫ সালে লালুপ্রদাস যাদের সঙ্গে জোট বেঁধে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে অবস্য লালুর হাত ছেড়ে তিনি বিজেপির হাত ধরেন। চলতি নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়াই করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই জয় পেয়েছে এনডিএ। উল্লেখ্য ৬ বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন নীতিশ কুমার। কিন্তু এবারও তিনি ভোটে জিতে বিধানসভায় যাননি। বরাবরই বিধান পরিষদের মাধ্যমে প্রবেশ করেছেন বিহার বিধানসভায়।
সূত্রের খবর বিজেপি ও জেডিইউ দুই দলই রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের আর্জি নিয়ে যাবে। দুই দলের নেতারা ইতিমধ্যেই সরকার গঠনের বিষয় কথাবার্তা বলতে শুরু করেছে। ২৪৩ আসনের বিহার বিহার বিধানসভায় বিজেপি জয়ী হয়েছে ৭২টি আসনে। নীতিশ কুমারের দল পয়েছে ৪৩টি। কিন্তু জোট ধর্ম মেনে নিয়ে বিজেপি প্রতিশ্রুতি মত নীতিশ কুমারকেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়েছে। বিহারের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন রাজপাট চালাতে নীতিশ কুমারের ওপর চাপ রাখতে ভারতীয় জনতা পার্টি। সংখ্যা কম থাকার কারণে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে হবে জেডিইউ প্রধানকে।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আশাপ্রদ ফল করছে তেজস্বী যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল। সংখ্যার বিচারে তারাই বিহারের একক বৃহত্তম দল। আরজেডির প্রাপ্ত আসন ৭৫টি। তবে তাদের জোটসঙ্গি হিসেবে বামেরা আশাপ্রদ ফল করলেও রীতিমত হতাশ করেছে কংগ্রেস। ৭০টির মধ্যে ১৯টি আসন দখল করেই থামতে হয়েছে শতাব্দী প্রাচিন এই দলটিকে।