বুথ ফেরত সমীক্ষাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিহারে সরকার গড়ার লক্ষ্য়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ। নীতিশ কুমারের জেডিইউ সঙ্গে জোট বেঁধেই নির্বাচনী লড়াই লড়ছে বিজেপি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড তাতে দেখা যাচ্ছে বিহারে একক বৃহত্তম পার্টি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলছে বিজেপি। আগামী দিনে সরকার গঠনের বিষয়ে আশাবাদী এনডিএ শিবির। দলের এক নেতা কৈলাস বিজয়বর্গিয় জানিয়েছেন আগামী দিনে তাঁরাই সরকার গঠন করতে চলেছেন। কিন্তু সরকারের নেতৃত্বের বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন।
কৈলাস বিজয়বর্গিয়র এই বক্তব্য থেকেই কিছুটা হলেও স্পষ্ট হচ্ছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে দলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও কৈলাস বিজয়বর্গিয় জানিয়েছেন, নীতিশ কুমারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে তাঁর দলের ও এনডিএ-এর। নির্বাচনের আগেই নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছিল দলের একটা অংশ। কিন্তু এনডিএ অটুট রাখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার বলেছিলেন নীতিশ কুমারের নেতৃত্বেই বিহারে নির্বাচনে লড়াই করবে বিজেপি ও এনডিএ জোট। নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ভোটের বিহারে একাই লড়াই করেছেন রামবিলাস পাসওয়ানের পুত্র চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি। তখনও বিজেপি নেতৃত্ব নীতিশ কুমারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে গেছে। কিন্তু ফল ভোট গণনাতে দেখা যাচ্ছে নির্বাচনের বিহারে এক বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিজেপি। বেলা সাড়ে বারোটা নগাদ নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিহারে এখনও পর্যন্ত বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৭২টি আসনে। ৬৫টি আসনে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তেজস্বী যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল। নীতিশের জনতা দল ইউনাইটেড এখনও পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে ৪৭টি আসনে। আর চিরাগের এলজেপি এগিয়ে রয়েছে মাত্র ২টিআসনে।
নির্বাচনী প্রচানে তেজস্বী ও চিরাগ দুই যুবনেতারই মূল টার্গেট ছিল নীতিশ কুমার। তেজস্বী বিজেপিকে মাঝেমধ্যে আক্রামণ করলেও চিরাগ বরাবরই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে গেছেন। আর নীতিশের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত কোষী ত্যাগি বলেছেন চিরাগই নীতিশ কুমারের ভোট কেটেছেন। বর্তমান বিহারের যা পরিস্থিতি তাতে খুব একটা স্বস্তিতে নেই নীতিশ কুমার। চলতি নির্বাচনে তিনি লড়াই করেননি। অন্যবারের মত বিধান পরিষদ থেকে জিতে আসার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। ভোট প্রচারেও বলেছিলেন এটাই তাঁর শেষ ভোট লড়াই। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে বিহারবাসী কিছুটা হলেও মুখ ফিরেয়ে নিয়েছে তাঁদের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে।