কথায় আছে 'মরেও শান্তি নেই'। ঠিক তেমনই ঘটনা ঘটল বিহারের কৃষক মহেশ যাবদের সঙ্গে। শাহজাহানপুরের বাসিন্দা ৫৫ বছরের মহেশ। দীর্ঘ দিন রোগভোগের পর গত মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু তারপরেও 'শ্মশানের শান্তি' পাননি মৃত ব্যক্তি। কারণ প্রতিবেশরা ব্যাঙ্কে গচ্ছিত লক্ষ টাকার জন্য তাঁর দেহ টানতে টানতে নিয়ে যায় ব্যাঙ্কে। শেষকৃত্য সম্পন্ন করার আগেই দাবি করে সমস্ত টাকা। যা নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তৈরি হয় মনোমালিন্য। পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিশকেও।
মহেশের পরিবারের কোনও সদস্য নেই। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীরাই এগিয়ে আসেন শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে। স্থানীয়দের কথায় শেষ সময় তাঁরাই ছিলেন মহশের কাছে। কিন্তু মহেশের মৃত্যুর পর শেষকৃত্যের জন্য টাকার প্রয়োজন হয়। প্রতিবেশীরা তাঁর বাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোনও কানাকড়ি উদ্ধার করতে পারেনি। বাড়িতে ছিল না কোনও দামি জিনিস, যা বেচে শেষকৃত্যের খরচ উঠবে। দীর্ঘ তল্লাশির পর প্রতিবেশীরা শুধু পেয়েছিল ব্যাঙ্কের এরটি পাসকবই। তাতেই তারা জানতে পেরেছিল মহেশের ব্যাঙ্কে ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা গচ্ছিত রয়েছে। সেই টাকার জন্যই মহেশের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্কে।
মরামারির মধ্যেই বার্ড ফ্লু সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ..
ব্যাঙ্কে গিয়ে প্রতিবেশীরা রীতিমত জোরজুলুম শুরু করে। টাকা না দিলে মহেশের দেহ শ্মশানে পাঠান হয়ে না বলেও ব্যাঙ্কে জমায়েত হওয়া প্রতিবেশীরা জানিয়েদিয়েছিল। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা ব্যাঙ্ক চত্ত্বর। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ডাকতে বাধ্য হয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশে হস্তক্ষেপে কিছু টাকা মঞ্জুর করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার আগে ম্যানেজার জানিয়েছিলেন মহেশের অ্যাকাউন্টে প্রায় ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা রয়েছে। কিন্তু কোনও নমিনি বা উত্তরাধিকার মনোনয়ন করা নেই। তাই টাকা তোলার জন্য উপযুক্ত পরিচয়পত্র প্রয়োজন। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি ছিল, মহেশের কোনও আত্মীয় নেই।শেষের দিনগুলিতে তাঁরাই মহেশের দেখাশোনা করতেন। আর সেই খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে মহেশকে সাহায্য করতে। তাই মহেশের টাকা পাওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সেসব শুনতে নারাজ। তারা জানিয়েছে তারা আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।