মধ্যপ্রদেশ রাজনৈতির টানাপোড়েন অব্যাহত। বৃহস্পতিবার এক কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফার পর রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত তিন কংগ্রেস বিধায়কের কোনও খোঁজ নেই। এরমধ্যেই সরকার দখল রাখার খেলায় নতুন মোড়। খবর রটে, বৃহস্পতিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সঙ্গে দেখা করেছেন দুই বিজেপি বিধায়ক। রাতারাতি তাঁরা পজ্মশিবির ছাড়তে চলেছেন বলেও গুজব ছড়া। যদিও সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের দুই বিধায়কই।
শোনা যায় বৃহস্পতিবার রাতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি শিবিরের দুই বিধায়ক সঞ্জয় পাঠক এবং নারায়ণ ত্রিপাঠি। যদিও কমলনাথের সঙ্গে দেখা করার কথা শুক্রবার পুরোপুরি অস্বীকার করেন বিধায়ক সঞ্চয় পাঠক। দল ছাড়ার গুজব উড়িয়ে সঞ্জয় জানিয়ে দেন, তিনি বিজেপিতে আছেন, এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁকে অপহরণ ও খুন করা হতে পারে বলেও আশঙ্কার করছেন বিজেপি বিধায়ক।
মধ্যপ্রদেশে সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলের ১০ বিধায়ককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছএ বিজেপির বিরুদ্ধে। রাজ্যের বর্ষীয়াণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং আগেই দাবি করেছিলেন মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস পরিচালিত সরকার ফেলতে বিজেপি অপারেশন মানিব্যাগ চালাচ্ছে। ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার বিনিময়ে বিধায়ক কেনার চেষ্টা চালান হচ্ছে। অপহৃত ১০ বিধায়কের মধ্যে কংগ্রেস ৬ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও চারজন এখনও নিখোঁজ। যার মধ্যে হরদীপ সিং ডাঙ স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন রঘুরাজ কানসানা, বিশাউলাল সিং ও শেরা ভাইয়া নামে এক নির্দল বিধায়ক।
আরও পড়ুন: স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখতে গিয়ে বিপত্তি, রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ গোটা পরিবার
নিখোঁজ হরদীপ স্পিকার এন পি প্রজাপতির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে । ওই বিধায়কের ক্ষোভ, দলের মধ্যে তাঁকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হত না। যদিও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার স্পিকার জানিয়েছেন তাঁরা কোনও চিঠি পাননি। কমলনাথ জানান, তিনি সংবাদমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছেন হরদীপ ডাঙ দল ছাড়ছেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুন করার দায় জেল খেটেছিলেন , ৭ বছর পর প্রেমিকের সঙ্গে খুঁজে পেলেন সহধর্মিনীকে
এদিকে কংগ্রেসের দল ভাঙানোর খেলায় বিজেপি বিধায়ক সঞ্জয় পাঠকের গুপুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। সঞ্জয়ই কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ককে হরিয়ানার রিসর্টে নিয়ে যান বলে দাবি করা হচ্ছে। এর মধ্যেই গত বুধবার সঞ্জয় পাঠকের দুটি লৌহ খাদান বন্ধ করতে আদেশ জারি করেছ মধ্যপ্রদেশ সরকার। তারপরেই কী সঞ্জয় রাতারাতি দলবদলের কথা ভাবলেন সেই প্রশ্ন কিন্তু উঁকি দিতে শুরু করেছে।