উদ্ধার হল সিসিডি-র প্রতিষ্ঠাতা সিদ্ধার্থের দেহ, পরিবারকে খবর দিল পুলিশ

  • উদ্ধার হল ভি জি সিদ্ধার্থর দেহ
  • মেঙ্গালুরু থেকে সোমবার রাতে নিখোঁজ হন তিনি
  • সিসিডি-র প্রতিষ্ঠাতা ভি জে সিদ্ধার্থ
  • মঙ্গলবার গভীর রাতে উদ্ধার হয় ব্যবসায়ীর দেহ
     

debamoy ghosh | Published : Jul 31, 2019 3:27 AM IST / Updated: Jul 31 2019, 04:58 PM IST

আশঙ্কাই সত্যি হল। নিখোঁজ হওয়ার একদিনের মধ্যেই উদ্ধার হল কফি চেইন সিসিডি-র প্রতিষ্ঠাতা ভি জি সিদ্ধার্থের দেহ। এ দিন সকালে মেঙ্গালুরুর হোইগেবাজার এলাকায় নেত্রাবতী নদীর পাড়ে ভেসে ওঠে দেহটি। যদিও পরিবারের তরফে এখনও দেহ শনাক্ত করা হয়নি। 

সোমবার গভীর রাতে মেঙ্গালুরুর নেত্রাবতীর নদীর সেতু থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণের জামাই ভি জি সিদ্ধার্থ। প্রথম থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। কফি চেইন সিসিডি-র আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা সামলাতে না পেরেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই অনুমান করা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন- রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ সিসিডি-র প্রতিষ্ঠাতা, কর্মচারীদের জন্য লিখে গেলেন চিঠি

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় মৎস্যজীবীদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই হোইগিবাজার এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে উদ্ধার করা হয় ব্যবসায়ীর দেহ। মৎস্যজীবীরাই জানিয়েছিলেন, যে এলাকা থেকে সিদ্ধার্থ নিখোঁজ হয়েছিলেন, তাতে জলের স্রোতে হোগিইবাজার অঞ্চলের তাঁর দেহ ভেসে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। কারণ ওখানেই সমুদ্রের সঙ্গে মেশে নেত্রাবতী নদী। 

দেহ উদ্ধারের পরেই সিদ্ধার্থের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ওয়েনলক হাসপাতালে দেহটি রাখা হয়েছে। পরিজনরা মৃতদেহ শনাক্ত করার পরেই ময়নাতদন্তের  প্রক্রিয়া শুরু হবে। 

নিজের সংস্থার বোর্ড ডিরেক্টরদের লেখা শেষ চিঠিতে সিদ্ধার্থ স্বীকার করে নিয়েছিলেন, অনেক চেষ্টা করেও সংস্থার বিপুল আর্থিক হাল ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ঋণদাতাদের চাপও দিন দিন বাড়ছিল। এর পাশাপাশি আয়কর দফতরের বিরুদ্ধেও হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন সিসিডি-র প্রতিষ্ঠাতা। চিঠিতে তিনি লেখেন, গত কুড়ি বছরে সবমিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার কর্মসসংস্থানের ব্যবস্থা করলেও লাভজনক ব্যবসায়িক মডেল খুঁজে বের করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও ওই চিঠিতে যে সই রয়েছে তা সিদ্ধার্থরই কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন আয়কর দফতরের কর্তারা। সিদ্ধার্থের পরিবারের সদস্যরা অবশ্য নিশ্চিত, ওই চিঠি তাঁরই লেখা। 

Share this article
click me!