'বুলন্দ ভারত' নামের ভারতের এই সামরিক মহড়া তার সীমান্তেই চিনকে চ্যালেঞ্জ করেছে, যারা অতীতে অরুণাচল প্রদেশের ১১টি এলাকার নাম পরিবর্তন করার সাহস করেছিল। চিন অরুণাচল প্রদেশকে তাওয়াং বলে এবং তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে আসছে।
প্রতিবেশী দেশ চিনের লাদাখ থেকে অরুণাচল সীমান্ত পর্যন্ত উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি বড় মহড়া চালিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই কৌশলে বোফর্স কামান, মর্টার এবং দূরপাল্লার বন্দুকও ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া আরও অনেক ভারী অস্ত্রও দিয়েও মহড়া চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। চিন সীমান্তে কার্যত ভারতীয় সেনা ঝড় তুলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 'বুলন্দ ভারত' নামের ভারতের এই সামরিক মহড়া তার সীমান্তেই চিনকে চ্যালেঞ্জ করেছে, যারা অতীতে অরুণাচল প্রদেশের ১১টি এলাকার নাম পরিবর্তন করার সাহস করেছিল। চিন অরুণাচল প্রদেশকে তাওয়াং বলে এবং তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে আসছে। অন্যদিকে এই দাবির পুরোপুরি বিরোধিতা করে ভারত জানিয়েছে অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অংশ ছিল, ভবিষ্যতেও তাই থাকবে। এখানে বহিরাগত কোনও শক্তির দখলদারি মেনে নেবে না নয়াদিল্লি।
চিনের সাথে ভারতের একটি ৩৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যেখানে উভয় দেশই বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে। ৮ বছর আগে পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল এবং তারপর থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের এই জোরালো মহড়াকে শক্তি প্রদর্শন হিসেবে দেখা হচ্ছে। বোফর্স কামান ছাড়াও, ভারতীয় সেনাবাহিনী তার অনুশীলনে ধানুশ এবং সারঙ্গের মতো অত্যাধুনিক দূরপাল্লার বন্দুকগুলিও ব্যবহার করেছে। শুধু তাই নয়, পিনাকা মাল্টি লঞ্চ রকেট সিস্টেমও তার শক্তি প্রদর্শন করেছে।
'বুলন্দ ভারত' সামরিক মহড়ার বিশেষ বৈশিষ্ট্য
বুলন্দ ভারত সামরিক মহড়ার অধীনে ভারতীয় সেনাবাহিনীও নজরদারি পরীক্ষা করছে। এছাড়াও নিজের শক্তি বিচার করতে ভারী অস্ত্র দিয়ে অনুশীলন করা হচ্ছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, এই মহড়ায় সেনাবাহিনী তাদের রাডার সিস্টেম, ভারী অস্ত্র এবং নজরদারি ব্যবস্থার শক্তি মূল্যায়ন করছে কিভাবে একযোগে শত্রু দেশের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা যায়। বর্তমানে, এই মহড়ার বিষয়ে চীনের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে এটি স্পষ্ট যে এটি অবশ্যই নজর রেখেছে।
মাসখানেক আগেও জোর মহড়া হয়েছিল
আগে অরুণাচল প্রদেশে সৈন্যদের দীর্ঘ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল এবং এখন এই মহড়া হয়েছে। এর আগে গত মাসেও ভারতীয় সেনা ও বিমান বাহিনী একসঙ্গে ড্রিল করেছিল। এই সময় সেনাবাহিনী C-17 গ্লোবমাস্টার, চিনুক এবং MI-17-এর মতো হেলিকপ্টারও ব্যবহার করেছিল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ভারতের সামরিক নেতৃত্ব বহুবার বলেছে যে চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ হলে তাও মোকাবেলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।