বিআরও চেষ্টা করছে ২০২৪ সালের মধ্যে রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য। যাতে তীর্থযাত্রীদের ভারতের শেষ বিন্দু পর্যন্ত যানবাহন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়।
উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ থেকে কৈলাস মানসরোবরের যাত্রা এখন আরও সহজ হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের চাপের মধ্যে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন বা বিআরও এখন জানিয়েছে যে কবে নাগাদ লিপুলেখ থেকে কৈলাস মানসরোবরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। বিআরও জানায়, ২০২৪ সালের মধ্যে সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরপাল সিং বলেছেন, একটা বড় অংশের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন বিআরও চেষ্টা করছে ২০২৪ সালের মধ্যে রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য। যাতে তীর্থযাত্রীদের ভারতের শেষ বিন্দু পর্যন্ত যানবাহন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়। রাস্তা তৈরি হলে এই এলাকার উন্নয়নও গতি পাবে, সেই সঙ্গে বাড়বে পর্যটন। তিনি আরও বলেন, সড়ক প্রকল্পের কাজ শেষ হলে হজযাত্রীদের যাতায়াতের সময় প্রায় এক সপ্তাহ কমবে। ধারচুলা থেকে কৈলাস মানসরোবরের দূরত্ব মাত্র ১১৫ কিলোমিটার। লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরপাল বলেন, সরকার প্রকল্পে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে এবং ভারী-লিফট চিনুক হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে যন্ত্রপাতিগুলোকে উচ্চতায় তুলতে।
কিছু অংশে টানেলিং পরিকল্পনা
ভ্রমণের সময় কমাতে ও ভারত চিন সীমান্তের সংঘর্ষপ্রবণ এলারাগুলি এড়াতে লিপুলেখ এবং কৈলাস মানসরোবরের মধ্যে রুটের কিছু অংশ সুড়ঙ্গ করার পরিকল্পনাও রয়েছে। নতুন রুটে পিথোরাগড় এবং তারপরে লিপুলেখ পাস চিন সীমান্তে রয়েছে। বলাই বাহুল্য এই দুটি এলাকা তীর্থযাত্রী বা সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপদ নয়। সিকিমের নাথু লা হয়ে কৈলাস মানসরোবরে যাওয়ার আরেকটি রুট রয়েছে যা চিন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার সড়ক ভ্রমণের সাথে জড়িত। তাই সেইদিকটাও মাথায় রাখছে বিআরও।
সরকার ৬৫০ কোটি টাকার বেশি মঞ্জুর করতে প্রস্তুত
কেন্দ্রীয় সরকার ভারত-চিন সীমান্ত সংযোগ সড়কের শেষ অংশের সমাপ্তির জন্য ৬৫০ কোটি টাকার বেশি মঞ্জুর করতে প্রস্তুত, যা পবিত্র কৈলাস মানসরোবর যাত্রার জন্য একটি নতুন সড়ক পথ তৈরির ক্ষেত্রে কাজ করবে। এই সড়ক সংযোগের কাজ শেষ হলে, উত্তরাখণ্ড থেকে ছোট যানবাহনও পবিত্র তীর্থস্থানের মাত্র ৭৫ কিলোমিটার আগে পৌঁছতে পারবে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী মোদী সরকার এই রাস্তাটির নির্মাণে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং দ্রুত কাজ শেষ করতে যান্ত্রিক নির্মাণের উপর জোর দিতে চায়।
এই রাস্তার কাজ শেষ হলেই উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় থেকে ভারত-চিন সীমান্তে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টায় যাওয়া সম্ভব হবে। আধিকারিকদের মতে, পবিত্র কৈলাস মানসরোবর সেখান থেকে মাত্র ২ ঘন্টা দূরে। অর্থাৎ এই রাস্তা তৈরির পর পিথোরাগড় থেকে পবিত্র কৈলাসে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টায় যাওয়া যাবে। এই সময়ে কৈলাস মানসরোবর যেতে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ সময় লাগে। এই রুটগুলো সিকিম বা নেপালের মধ্য দিয়ে যায়।
আরও পড়ুন
বেঙ্গালুরু টেকনোলজিক্যাল সামিটের রজত জয়ন্তী সংস্করণের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী