ভারতবর্ষের ইলেকট্রনিক্স শিল্পে নয়া পালক। বেঙ্গালুরুতে বিপিএল লিমিটেডের নিজস্ব উৎপাদন কেন্দ্রে চালু হল প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড তৈরির অত্যাধুনিক কাটিং-এজ প্রযুক্তি।
ভারতবর্ষের ইলেকট্রনিক্স শিল্পে নয়া পালক। বেঙ্গালুরুতে বিপিএল লিমিটেডের নিজস্ব উৎপাদন কেন্দ্রে চালু হল প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড তৈরির অত্যাধুনিক কাটিং-এজ প্রযুক্তি।
এই কাটিং-এজ ভারতবর্ষের ইতিহাসে প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড তৈরির ল্যান্ডস্কেপ এবং ইলেকট্রনিক্স সেগমেন্টগুলির ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলেই বিশ্বাস সংস্থার আধিকারিকদের। বছরের পর বছর ধরে দেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্পে অবদান রেখে চলছে এই সংস্থাটি। আর এবার তাদের উদ্যোগেই এই নয়া পদক্ষেপ।
নতুন সার্কিট এবং নানা ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী তৈরির সঙ্গে সেগুলির গুণমানের ওপর বরাবর নজর দেয় বিপিএল। সেইসঙ্গে, পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে এই শিল্পে বিনিয়োগ করছে তারা। সংস্থাটি দেশের ইলেকট্রনিক্স সেক্টরে স্বনির্ভরতা যেমন তৈরি করতে পেরেছে, সেইরকমই বিশ্বব্যাপী নিজেদের জাহির করতেও সক্ষম হয়েছে। আর সেই উপস্থিতি যেন ক্রমশই আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই উৎপাদন কেন্দ্রটিতে একটি বিশেষ ধরণের ১০০কে ক্লিন রুম, উন্নত প্লেটিং লাইন এবং সিএনসি-নিয়ন্ত্রিত মেশিন রয়েছে। যা এই অত্যাধুনিক কাটিং-এজ প্রযুক্তির অন্তর্গত। সেইসঙ্গে, পিসিবি-র ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এই প্রযুক্তি ভীষণভাবেই সাহায্য করবে বলে মনে করছেন তারা। অন্যদিকে, এই উৎপাদন প্রযুক্তি ফ্যাব্রিকেশনের ক্ষেত্রে একেবারে নির্ভুল থাকবে। আরএফ অ্যান্টেনা, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা এবং পাওয়ার ট্রান্সফার সহ বিভিন্ন শিল্পের চাহিদা মেটাতেই বিপিএল-এর নয়া উদ্যোগ।
এই বিশেষ ব্যবস্থায় থাকছে মাইক্রো-সেকশন বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা। সেইসঙ্গে থাকছে ৫০০এক্স পর্যন্ত মাইক্রোস্কোপ এবং নির্ভুল প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড পরীক্ষার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য চেম্বার। উল্লেখ্য, ভারতীয় প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডের বাজার বেশ ঊর্ধ্বমুখী। গত ২০২৪ সাল থেকে আগামী ২০৩২ সালের মধ্যে আনুমানিক সিএজিআর হতে পারে ১৮.১%। অন্যদিকে, ২০৩২ সালের মধ্যে ২০.১৭ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছনোর আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে, দেশের সরকারের তরফ থেকেও সবরকম সহযোগিতা করা হয়েছে তাদের। জাপানের স্যানিও থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে বিপিএল প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড তৈরি শুরু করে ১৯৮৯ সালে।
ইতিমধ্যেই বিপিএল তার উৎপাদন কেন্দ্রকে স্বয়ংক্রিয় মেশিনের সঙ্গে উন্নত করে আউটপুট, গুণমান এবং শিল্পের বৃদ্ধিতে ১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। গ্রাহকদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হিসেবে কাজ করে চলেছে তারা। সেইসঙ্গে, শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স এবং ইএমএস নির্মাতারা বিপিএলকে প্রাথমিক পিসিবি সরবরাহকারী হিসেবে মনোনীতও করেছেন।
কারণ, তাদের সাপ্লাই চেইন দক্ষতা যথেষ্ট ভালো। তাছাড়া উপাদানের লিড টাইম নিয়ন্ত্রণ করে সাপ্লাই চেইনের ঝুঁকি কমাতে গ্রাহকরা এই সংস্থার উপরই বেশি নির্ভর করে থাকে।
তাই নিঃসন্দেহে, বিপিএল লিমিটেডের এই উদ্যোগ দেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্পে রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।