সম্প্রতি রাহুল তাঁর পরিবারের এক সদস্যের অসুস্থাতার কারণে ছুটি নিয়েছিলেন। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন। আর তারপরই গত ৩১ মার্চ সংস্থার হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট থেকে একটি ফোনকল পান।
আবারও বিতর্কে এডুটেক সংস্থা বাইজুস। এবার কোনও নোটিশ ছাড়াই শুধুমাত্র ফোনকলের মাধ্যমেই কর্মীদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। রাহুল নামের এডুটেক সংস্থার এক কর্মী এজাতীয় ফোনকল পেয়েছিলেন। ৩১ মার্চ মাত্র এক দিনের নোটিশেই তাঁকে ছাঁটাই করা হয়েছে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাহুল সম্প্রতী ছুটি নিয়েছিলেন। তাতেই তাঁকে ছাঁটাই করা হয়েছে। কিন্তু বলা হয়েছে সংস্থা আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেই কারণেই ছাঁটাই করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাহুল তাঁর পরিবারের এক সদস্যের অসুস্থাতার কারণে ছুটি নিয়েছিলেন। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন। আর তারপরই গত ৩১ মার্চ সংস্থার হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট থেকে একটি ফোনকল পান। সেখানেই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁর চাকরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাঁর কর্মদিসব আগেই শেষ হয়েছে। এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে এজাতীয় কোনও নোটিশ তিনি পাননি বলেও জানিয়েছেন রাহুল। রাহুল আরও জানিয়েছেন, তাঁর ফোন নম্বরই সংস্থার এইচআইর বিভাগ ব্লক করে দিয়েছে। সবমিলিয়ে তার কাছে আর কোনও সুযোগ নেই যোগাযোগ করার।
রাহুল নিজের ফোন কল রেকর্ড করেছে। তা থেকে স্পষ্ট রাহুলের ছাঁটাই সম্পর্ক স্পষ্ট কোনও বার্তা দেয়নি ইউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট। কারণ একবার বলা হয়েছে কোনও অনুমতি ছাড়াই রাহুল ছুটি নিয়েছে- এই যুক্তিতে ছাঁটাই করা হয়েছে। পরে বলা হয়েছে সংস্থা আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে - তাই এই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত।
পরবর্তীকালে রাহুলকে যে ইমেল করা হয়েছিল তা হল- 'হাই রাহুল, এটি নিশ্চিত করার জন্য যে Think and Learn Pvt Ltd-এর সঙ্গে আপনার শেষ কার্যদিবস হবে মার্চ ৩১, ২০২৪। নীতি মেনেই আপনাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনার সম্পূর্ণ এবং চূড়ান্ত নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াকরণ সক্ষম করতে আপনার কাছে থাকা কোম্পানির সমস্ত সম্পদ এবং মালিকানা তথ্য হস্তান্তর করুন। প্রস্থানের আনুষ্ঠানিকতার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে, অনুগ্রহ করে separations@byjus.com-এ যোগাযোগ করুন।'
তবে শুধুমাত্র রাহুল নয়, আরও বেশ কয়েক জন কর্মীকেই ফোনকলের মাধ্যমে ছাঁটাই করা হয়েছে। সেখানেও কর্মীদের পারফরম্যান্স ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যানে না রেখেই ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাইজু-র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁরা অপারেটিং কাঠামোকে সহজ করতে ও খরচের মাত্রা কমাতেই একাধিক পদক্ষেপ করছে। ২০২৩ সালে যে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেগুলি নিয়ে কাজ করা শুরু করেছে। সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। আর সেই কারণে আর্থিক চাপ রয়েছে সংস্থার ওপর।