তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েনের স্পষ্ট কথা চারটির মধ্যে তিনটিতে বিজেপি প্রার্থীদের জামানত জব্দ হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তিনি আরও বলেছেন রাজ্যের ভোট পরিসংখ্য থেকে স্পষ্ট বিজেপি ও সিপিএম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান ধরে রাখার জন্য লড়াই করেছে।
রাজ্য বিধানসভায় চারটি আসনে উপনির্বাচনে (Bypoll) প্রত্যেকটাতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তারমধ্যে দুটি আসন তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির (BJP) কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পরই বিজেপিকে নিশানা করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien)। তিনি বলেন বিজেপি প্রার্থীরা যে শুধু হেরে গেছে এমনটা ভাবের কোনও কারণ নেই। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের জামানতও জব্দ হয়েছে।
Bypoll Result 2022: হিমাচলে অক্সিজেন পেল কংগ্রেস, বিজেপি প্রার্থীর জামানত জব্দ হওয়ার মুখে
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েনের স্পষ্ট কথা চারটির মধ্যে তিনটিতে বিজেপি প্রার্থীদের জামানত জব্দ হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তিনি আরও বলেছেন রাজ্যের ভোট পরিসংখ্য থেকে স্পষ্ট বিজেপি ও সিপিএম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান ধরে রাখার জন্য লড়াই করেছে। ডেরেকের কথায় দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে বাম প্রার্থীদের সঙ্গে মূলত লড়াই করতে হয়েছে দেশের শাসকদলকে। মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস হেরে গিয়েছিল। সেই সময় ব্যবধান জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে পরাজিত প্রার্থীর ভোটের পার্থক্য ছিল ৫৭ হাজার। কিন্তু উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হওয়ার পাশাপাশি বাড়িছে ভোটের ব্যবধানও। শেষে ডেরেক অবশ্য তাঁর স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে অমিত শাহকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন আগামী বছর দিওয়ালি পর্যন্ত অমিত শাহের বাংলার আসার প্রয়োজন নেই।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার অর্থ-
জনপ্রতিনিধিত্বের আইন ১৯৫১ অনুসারে, সংসদীয় বা বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জামানত হিসেবে জমা দিতে হয়। নির্বাচন কমিশনের কাছেই এই অর্থ জমা রাখতে হয়। এই মূল উদ্দেশ্যই হল যাতে সকল মানুষ ভোটে লড়াই করচে না পারে। গুরুত্বপূর্ণরাই যাতে ভোটে লড়াই করতে পারে তার জন্য এই নিয়ম। ভোট গণনার পরে প্রার্থীদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে সংগ্রহ করা টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেতে তা ফেরত দেওয়া হয় না। এই নিয়মকেই বলে জামানত বাজেয়াপ্ত। নিয়ম অনুযায়ী কোনও একটি কেন্দ্র মোট যত বৈধ ভোট পড়েছে তার ৬ ভাগের এক ভাগ কোনও প্রার্থী যদি না পায়, তাহলেই সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়ে যায়। কারণ এমনটা হলে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয় না।
Breaking News: কংগ্রেসকে ধাক্কা দিয়ে নতুন দল ঘোষণা ক্যাপ্টেনের, সনিয়াকে চিঠি লিখে দলত্যাগ
সব মিলিয়ে উপনির্বাচনে বিজেপি হাওয়া অনেকটাই কম লক্ষ্য করা গেল এই রাজ্যে। মোটের ওপর এই রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। পাল্টা কিছুটা হলেও অক্সিজেন পাচ্ছে বামেরা। যাই হোক ২৯৪ আসনের রাজ্য বিধানসভায় একমাত্র বিরোধী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিল বিজেপি। কারণ মাত্র একটি আসন পেয়েছিল বাম কংগ্রেসের জোটসঙ্গি আইএসএফ। তবে বিধানসভা ভোটের পর দলবদল আপ বিধায়ক পদ ছেড়ে যাওয়ার হিড়িকি বিধানসভায় আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
Climate Summit: জলবায়ু বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর 'পঞ্চামৃত', লক্ষ্যমাত্রা পুরণের সময় চিন আমেরিকার পরে
বিজেপি সূত্রের খবর বিধানসভা ভোটের পর ৭৩-৭৪ জন বিধায়ক নিয়ে দৌড় শুরু করেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু বর্তমানে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার ঠেলা ক্রমশই কমছে বিধায়ক সংখ্যা। পাশাপাশি সাংসদই লোকসভায় যেতে আগ্রহী। সেই কারণে তারা বিধায়ক পদ ভোটের পরপরই ছেড়ে দিয়েছেন। বিজেপি সূত্রে খবর বর্তমানে বিজেপি বিধায়ক সংখ্যা কমতে কমতে ৬৩-৬৫-র মধ্যে রয়েছে।