সিএএ আইন কেন সংবিধান বিরোধী নয়, ব্যাখ্যা দিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। এই আইনকে সমর্থন করলেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিভি আচার্য। কেন এই আইন সংবিধান বিরোধী নয় ব্যাখ্যা করলেন তিনি। একি সঙ্গে এনআরসি নিয়েও চিন্তার কিছু নেই বলে মত দিলেন।

 

amartya lahiri | Published : Dec 25, 2019 2:27 PM IST

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। কিন্তু তারমধ্য়েই এই আইনের পক্ষে খোলাখুলি সমর্থন জানালেন বেঙ্গালুরুর বিশিষ্ট আইনজীবী বিভি আচার্য। তাঁর মতে এই আইন কারোর অধিকার কেড়ে নিচ্ছে না। এটা শুধুমাত্র একটা অংশের মানুষকে কিছু অতিরিক্ত অধিকার দেয়।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এটা নতুন কোনও আইন নয়, পুরোনো আইনের সংশোধনী। মূল আইনে মুসলিম সহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ নাগরিকত্বের দাবি জানাতে পারতেন। শর্ত মেনে এখনও তা পারবেন। নয়া সংশোধনীতে শুধুমাত্র তিন প্রতিবেশী দেশের অমুসলিম সংখ্যালঘুদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হবে। এতে কারোর কোনও অভিযোগ থাকার কথা নয়।

সিএএ-র বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগ এই আইন সংবিধানের পরিপন্থী। বিভি আচার্য কিন্তু এর সঙ্গে একমত নন। তিনি জানিয়েছেন, ক্ষমতাসীন দল এই আইন প্রণয়ন করে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি লঙ্ঘন করেছে, এটাই বিরোধীদের একমাত্র যুক্তি। বিরোধীদের আপত্তি তিনটি রাষ্ট্রের মুসলমানদের বাদ দেওয়া নিয়ে। বিভি আচার্য জানিয়েছেন, দুটি কারণে সরকার মুসলমানদের বাদ দিয়েছে এই আইন থেকে। প্রথমত মুসলমানরা এই তিন দেশে সংখ্যালঘু নয়, দ্বিতীয়ত ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত এই তিন দেশে তাদের সাংবিধানিক রক্ষাকবজ রয়েছে।

এই বিশিষ্ট আইনজীবীর মতে সংবিধানের ২১ আর ১৯ নম্বর ধারা শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কাজেই এই আইনে সেগুলি লঙ্ঘিত হতে পারে না। একমাত্র কথা উঠতে পারে ১৪ নম্বর ধারা নিয়ে। যা আইনের চোখে সকলকে সমানাধিকার দেওয়ার কথা বলে। ভারতে ধর্ম, জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ বা জন্মস্থান নির্বিশেষে বৈষম্যের বিরোধিতা করে এই ধারা। কিন্তু ১৪ নম্বর ধারা দিয়েও এই আইনকে ন্যায্যতা দেওয়া যায় বলে মনে করেন তিনি। তাঁর মতে তিন প্রতিবেশী দেশে মুসলিমরা সংখ্যালঘুদের চেয়ে ভিন্নভাবে থাকেন। তারা ইসলামী দেশে সংখ্যালঘু নন।

নাগরিকত্ব আইনের পাশাপাশি এনআরসি নিয়েও মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই সম্পর্কে এই বিশিষ্ট আইনজীবী বলেছেন এই বিল এখনও পেশই করা হয়নি, তাই আগে থেকেই প্রতিবাদ করা অপ্রয়োজনীয়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার এনআরসি বিল তৈরির আগে সকলের মতামত বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাজেই বিল পেশ হওয়ার পরই তার বৈধতা-অবৈধতা পরখ করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন তিনি।

 

Share this article
click me!