তিনি রাজীব গান্ধী মন্ত্রিসভার অন্যতম মন্ত্রী ছিলেন তিনি। বর্তমানে কেরলের রাজ্যপাল। কংগ্রেস তীব্রভাবে নাগরিকত্ব আইন ২০১৯-এর বিরোধিতা করলেও আরিফ মহম্মদ খান কিন্তু এই বিতর্কিত আইন-কে প্রবলভাবে সমর্থন করলেন। তাঁর মতে পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্বের অধিকার দেওয়া নিয়ে মহাত্মা গান্ধী এবং ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করবে এই আইন।
তিনি জানান, মহাত্মা গান্ধী ১৯৪৭ সালের ৭ জুলাই বলেছিলেন, পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু ও শিখরা যদি পাকিস্তানে বসবাস করতে না চান তাহলে তাঁদের ভারতে আসার অধিকার রয়েছে। পণ্ডিত নেহরুও তাঁদের জায়গা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, রাজস্থানের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট-ও ভারতে বসবাসরত উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্বের অধিকার দাবি করেছিলেন।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন-কে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। আরিফ মহম্মদ খান এই জন্য নিজের পুরোনো দলের সমালোচনা করেছেন। কেরলের রাজ্যপালের মতে দেশভাগের পর সেই সময়ের কংগ্রেস নেতারা পাকিস্তানে থেকে যাওয়া অমুসলিমদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পূর্ণ হবে এই আইনের বলে। এর মধ্য দিয়ে ভারত সরকারের অমুসলিম শরণার্থীদের কর্মসংস্থান, নাগরিকত্ত্ব এবং নিশ্চিন্ত জীবন দেওয়ার সদিচ্ছাই প্রকাশ পাচ্ছে।