অসমে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে সিপিএমও। কামরুপে দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখান হয়। সবমিলিয়ে সিএএ নিয়ে প্রবল প্রতিবাদ শুরু হয়েছে অসমে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ। ইত্তাল অসম। মঙ্গলবার গোটা রাজ্যজুড়েই বিক্ষিপ্ত প্রতিবাদ শুরু হয়। একাধিক জায়গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কুশপুতুল দাহ করা হয়। পোড়ান হয়েছে আইনের অনুলিপিও। প্রতিবাদের সামনের সারিতে রয়েছে অসম জাতীয়তাবাদী যুবছাত্র পরিষদ। লাখিমপুরে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুশপুতুল পোড়ান হয়। অন্যদিকে কংগ্রেসও সিএএ র প্রতিবাদে সামিল হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে। সেখানেও সিএএ আইনের অনুলিপি পোড়ান হয়েছে।
অসমে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে সিপিএমও। কামরুপে দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখান হয়। সবমিলিয়ে সিএএ নিয়ে প্রবল প্রতিবাদ শুরু হয়েছে অসমে। ইতিমধ্যেই অসমে সতর্ক হেমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। তবে সিএএর প্রতিবাদে শিবসাগর, গোলাঘাট, নগাঁও ও কামরুপের মত কয়েকটি জেলায় দোকানপাট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। গুয়াহাটিতে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে রাজ্যের কোনও জোরদার আন্দলন বরদাস্ত করা হবে না। জনগণের সম্পত্তির ক্ষতি মেনে নেওয়া হবে না। রাজ্যের বাসিন্দাদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
যদিও অসম প্রসাসনের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে এদিন অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়ম ও ৩০টি অরাজনৈতিক আদিবাসী সংগঠন সন্ধ্যায় টর্চলাইট মিছিল করার প্রস্তুতি নিয়েছে। বুধবার থেকে শুরু হবে সত্যাগ্রহ আন্দোলন। আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার জন্য মঙ্গলবার একটি AASU প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। দলের একটি অংশ অসমে প্রতিবাদ মিছিলও করবে।
অন্যদিকে সিএএ-র বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে প্রতিবাদে সরব হয়েছিল দিল্লির শাহিনবাগের মানুষ। এবার সিএএ জারি হওয়ার পরেও সেই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের রেশ দেখা গিয়েছে। এদিন গোটা এলাকা ছিল শান্ত। অধিকাংশ প্রতিবাদী ঘর থেকে বেরিয়ে আসেননি। প্রতিবাদেন লেশমাত্র নেই।