নিকট প্রতিবেশী দেশ হিসাবে উন্মুক্ত সীমান্ত, সংস্কৃতি এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের গভীর যোগাযোগের মাধ্যমে গড়ে ওঠা আত্মীয়তার সূত্র ধরে ভারত ও নেপালের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতার এক অনন্য মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে। ভারত ও নেপাল উভয় দেশই সার্ক, বিমস্টেক – এর মতো বিশ্ব মঞ্চের পাশাপাশি, বিভিন্ন আঞ্চলিক মঞ্চেও একসঙ্গে কাজ করে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার ধারচুলাতে (Bharchula) ভারত নেপালের (India-Nepal) মধ্যে সেতু তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। মহাকালি নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ভারত ও নেপালের মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরে অনুমোদন দিয়েছে। এই সমঝোতা স্বাক্ষরের ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
প্রেক্ষাপট:
নিকট প্রতিবেশী দেশ হিসাবে উন্মুক্ত সীমান্ত, সংস্কৃতি এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের গভীর যোগাযোগের মাধ্যমে গড়ে ওঠা আত্মীয়তার সূত্র ধরে ভারত ও নেপালের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতার এক অনন্য মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে। ভারত ও নেপাল উভয় দেশই সার্ক, বিমস্টেক – এর মতো বিশ্ব মঞ্চের পাশাপাশি, বিভিন্ন আঞ্চলিক মঞ্চেও একসঙ্গে কাজ করে চলেছে।
বর্তমানে ভারতে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে আরও দৃঢ়় সম্পর্ক তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে। এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে নেপালের নাম। কারণ চিন যেমন ভারতের কাছে একটি হুমকি। তেমনই নেপালের কাছেও হুমকি। ভারতের সঙ্গে যেমন চিনের সীমান্ত নিয়ে বিবাদ রয়েছে তেমনই চিনের সঙ্গেও নেপালের সীমান্ত নিয়ে সমস্যা রয়েছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী শেরবাহাদুর দেউবাও চান ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক। তাই কেপি শর্মা ওলির উত্তরসূরী হিসেবে তিনি শপথ নেওয়ার পর করোনাকালের মধ্যেই ভারত সফরে এসেছেন। জোর দিয়েছেন দুই দেশের সুসম্পর্কের ওপর। নেপালের রাজনৈতিক মহলের মতে চিনার সঙ্গে ঘনিষ্টতার কারণের নেপাল পার্লামেন্টে জনপ্রিয়তা হারাতে হয়েছিল কেপি শর্মা ওলিকে। তাই সেই পথে না হেঁটে শেরবাহাদুর দেউবা ভারতের সঙ্গে মৈত্রীর ওপরই বেশি জোর দেন।
অন্যদিকে ভারতেও নেপালের পাশে সর্বদা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। জোর দিয়েছে দুই দেশের মৈত্রীর ওপর। করোনাভারসার সংক্রান্ত এই মহামারির সময় ভারতে টিকা থেকে শুরু করে ওষুধপথ্য দিয়ে সাহায্য করেছে প্রতেবিশে পাহাড়ি দেশটিকে। পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার জন্য উন্মুক্ত সীমান্ত ও সংস্কৃতির ওপর জোর দিয়েছে।
অন্যদিকে এনডিএ সরকারের আগে মনমোহন জমানায় নেপালের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক অনেকটাই দৃঢ়় ছিল। নেপালের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার প্রচন্ড ভারত সফরে না এসে প্রথম চিন সফরে গিয়েছিলেন। যা নেপালের ইতিহাসে প্রথম। কারণ ক্ষমতা দখলের পর সব প্রধানমন্ত্রীই ভারতে সফয়রে এসেছেন। মাওবাদী ইস্যু নিয়েও ভারতের সঙ্গে সেই সময় দূরত্ব কিছুটা হলেও বেড়েছিল। কিন্তু মনমোহন জমানের শেষের দিক থেকেই নেপালের সঙ্গে ভারতের সঙ্গে নতুন করে দৃঢ়় হতে শুরু করেছিল।
PM Modi Security Lapse: প্রাক্তন ২৭ IPS-র চিঠি রাষ্ট্রপতিকে, পঞ্জাব সরকারের সমালোচনা
Omicron Alert: 'ওমিক্রন সাধারণ সর্দি নয়', আগামী ২ সপ্তাহ ভারতের জন্য কঠিন বলল WHO