নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত একবারও জনগণনা হয়নি। ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা থাকলেও, সেই পরিকল্পনা বদল করে কেন্দ্রীয় সরকার।
চার বছর বিলম্বিত হওয়ার পর ২০২৫ সালে জনগণনা শুরু হতে চলেছে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত দেশজুড়ে জনগণনার প্রক্রিয়া চলতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে এমনই জানা হিয়েছে। ২০১১ সালে দেশে শেষবার জনগণনা হয়েছিল। তারপর ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। জনগণনার কাজ শুরু না হওয়ায় অন্যান্য অনেক কাজও আটকে আছে। বিরোধী দলগুলি অনেকদিন ধরেই জনগণনার কাজ শুরু করার দাবি জানিয়ে আসছে। এবার সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৬ সালের মধ্যে জনগণনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাহলে তারপর লোকসভা আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু হতে পারে। ২০২৮ সালের মধ্যে লোকসভা আসন পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে।
জনগণনার পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এখনও সরকারিভাবে জনগণনার বিষয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে এই প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। জনগণনা হলে সাধারণ শ্রেণি, তফশিলী জাতি ও উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির গণনাও হবে। একইসঙ্গে দেশে কোন ধর্মের মানুষের সংখ্যা কত, সেটাও গণনা করা হবে।
করোনাভাইরাস অতিমারীর কারণে পিছিয়ে গিয়েছে জনগণনা
২০১১ সালে শেষবার যখন জনগণনা হয়েছিল, তখন দেশের জনসংখ্যা ছিল ১২১ কোটি। এখন দেশের জনসংখ্যা ১৪০ কোটির বেশি বলে অনুমান সরকারের। তবে জনগণনা না হলে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস অতিমারীর জন্যই ২০২১ সালে জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়নি। এবার সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সেনসাস কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণের কাজের মেয়াদ ২০২৬ সালের অগাস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপেই স্পষ্ট, এবার জনগণনা হবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
বিরাট প্রকল্পের উদ্বোধন, আজ টাটা বিমান কমপ্লেক্সের সূচনা করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী
রতন টাটার মৃত্যুর পর নরেন্দ্র মোদীর বড় পদক্ষেপ, টাটা এয়ারক্রাফ্ট উদ্বোধন করলেন তিনি