কৃষি রফতানিতে বড় সাফল্য ভারতের। ২০২১-২২ সালে কৃষিজাত পণ্য রফতানি করে ভারত আয় করেছেব প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।ভারতীয় কলা আর বেবে কর্ন এবার থেকে যাবে কানায়। এই দুটি পণ্য কানাডায় বিক্রি জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে।
কৃষি রফতানিতে বড় সাফল্য ভারতের। ২০২১-২২ সালে কৃষিজাত পণ্য রফতানি করে ভারত আয় করেছেব প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। কোভিড মহামারির এই সময় অনেক প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ভারত অনেকটাই এগিয়ে গেছে কৃষিজাত পণ্য রফতানি করে। কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (APEDA) জানিয়েছে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অধীনে, ২৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য রপ্তানি করে একটি নতুন ইতিহাস রচনা করেছে, যা ভারতের মোট ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কৃষি রপ্তানির ৫১ শতাংশ।
এছাড়াও, APEDA ২৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চালান নিবন্ধন করে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ২৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নিজস্ব রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। ডিজিসিআইএন্ডএস দ্বারা প্রকাশিত অস্থায়ী পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২১-২২ সালের মধ্যে কৃষি রপ্তানি ১৯.৯২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫০.২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে ভারতীয় কলা আর বেবে কর্ন এবার থেকে যাবে কানায়। এই দুটি পণ্য কানাডায় বিক্রি জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে বেবে কর্ন বা ভূট্টার রফতানি ২০২২ এর এপ্রিল থেকে শুরু হতে পারে। অন্যদিকে ভারতীয় কলার গুণমান বিচার করেই কানাডা ছাড়পত্র দিয়েছে। বলা হয়েছে দ্রুই ভারতীয় ব্যবসায়ীরা কলা এই দেশ থেকে সেদেশে রফতানি করতে পারবে। কানাডা সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় কৃষকদের এই ফসল চাষে ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে এবং ভারতের রপ্তানি আয়ও বাড়াবে।
গত দুই বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারই ফলস্বরূপ এই দেশের কৃষিজাত পণ্য বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে।মোট কৃষি রপ্তানির তুলনায়, APEDA-এর রপ্তানি ১৬ শতাংস বৃদ্ধি পেয়েছে যখন এটি ২০২০-২১ সালে ২২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে২৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে। ২০২১-২২ সালে APEDA পণ্য দ্বারা রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ বৃদ্ধির হার প্রায় ৩০ শতাংশ।