চন্দ্রযান ২-এর তোলা ছবিতে 'অ্যাপোলো ক্রেটার', 'ওরিয়েন্তালে বেসিন'! এগুলি কী জানেন

Published : Aug 23, 2019, 01:21 AM ISTUpdated : Aug 23, 2019, 01:24 AM IST
চন্দ্রযান ২-এর তোলা ছবিতে 'অ্যাপোলো ক্রেটার', 'ওরিয়েন্তালে বেসিন'! এগুলি কী জানেন

সংক্ষিপ্ত

চাঁদের ছবি তুলল চন্দ্রযান ২ চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০০০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে তোলা হয়েছে সেই ছবি ছবিটি ইসরো তাদের সরকারি টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করল ছবিতে অ্যাপোলো ক্রেটার, ওরিয়েন্তালে বেসিন-এর মতো চেনা জায়গা গুলি ধরা পড়েছে  

গত ২০ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে গিয়েছিল চন্দ্রযান ২। তার পরের দিনই আরেকটু নিচের কক্ষপথে নেমে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করতে শুরু করেছে ভারতের এই মহাকাশ যান। ওই দিনই এই ছবিটি তোলে বিক্রম। ছবিতে অন্তত দুটি চাঁদের অত্যন্ত পরিচিত ল্যান্ডমার্ক দেখা যাচ্ছে। জায়গাদুটিকে চিহ্নিত করেই ছবিটি পোস্ট করেছে ইসরো। এই দুই জায়গা হল - অ্যাপোলো বেসিন এবং মারে ওরিয়েন্টাল বেসিন। অল্পকথায় জেনে নেওয়া যাক চাঁদের এই দুটি জায়গা সম্পর্কে।

অ্যাপোলো ক্রেটার

এটি হল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত, দুটি রিং বিশিষ্ট একটি ইমপ্যাক্ট ক্রেটার, অর্থাৎ, উল্কাপাতের ধাক্কায় সৃষ্ট গর্ত। এর ব্যাস ৫৩৮ কিলোমিটার। ১৯৬৮ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে চাঁদে আমেরিকা যে অ্য়াপোলো চন্দ্রাভিযান চালিয়েছিল, তার নামেই এর নামকরণ করা হয়েছে। এই ক্রেচটারের মধ্যে আরো বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ক্রেটার বা গর্ত রয়েছে। সেগুলির প্রত্যেকটির নাম রাখা হয় নাসার মহাকাশ অভিযানে মৃত নভোশ্চরদের নামে।

আবার, অ্যাপোলো ক্রেটারটি নিজেও আরও একটি বড় ও পুরোনো ক্রেটার, 'সাউথ পোল এইটকেন বেসিন'-এর মধ্য়ে অবস্থিত। এই সাউথ পোল এইটকেন বেসিন সৌরজগতের অন্যতম বড় ক্রেটার।  চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধের বেশিরভাগটা জুড়েই রয়েছে এই বেসিন।

মারে ওরিয়েন্তালে বেসিন
 
ল্যাটিন ভাষায় মারে কথাটির অর্থ সমুদ্র। চন্দ্রপৃষ্ঠের এই অন্ধকারাচ্ছন্ন মসৃণ অংশটাকে একসময় জোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করতেন সমুদ্র। তার থেকেই এই নাম হয়েছে। চাঁদের একদম পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত এই জায়গাটি দেখতে একেবারে তীরন্দাজি বা শুটিং-এর ক্ষেত্রে সামনে যে টার্গেট বা চাদমারি থাকে তার মতন। তবে সেই টার্গটের ব্য়াস ৯৫০ কিলোমিটার।

কীভাবে তৈরি হয়েছিল এই বেসিন? পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে এটি ৩০০ কোটি বছরেরও বেশি পুরোনো। বিজ্ঞানীরা মনে করেন কোনও গ্রহাণু আছড়ে পড়ে এই জায়গাটি তৈরি হয়েছিল। আর তার ঘাত এতটাই বেশি ছিল, যে চাঁদের পৃষ্ঠে ঢেউ খেলে গিয়ে ওই বৃত্তাকার অংশগুলি তৈরি হয়েছিল। যে কারণে দেখলে মনে হয় শুটিং-এর টার্গেট। চাঁদের গঠন নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন, তাঁদের কাছে এই জায়গাটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চল চাঁদের সৃষ্টির প্রথম দিকের অনেক রহস্যের সমাধান করতে পারে বলে মনে করা হয়।

PREV
click me!

Recommended Stories

8th pay Commission: ১৮ হাজার থেকে বেড়ে ৫১,৪৮০ টাকা? বেতন ও পেনশন নিয়ে সংশয় কাটাল কেন্দ্র
সংসদে ওয়াইসি ধামাকা! কী এমন বললেন ওয়াইসি?, করতালিতে ফেটে পড়ল সংসদ