শুক্রবার সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী বলেন আফগানিস্তানে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা দখল হয়নি।
এবার বিশ্ব মঞ্চে আফগানিস্তানের (Afghanistan) পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। শুক্রবার সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে মোদী বলেন আফগানিস্তানে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে (change in power in Afghanistan is not inclusive)। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা দখল হয়নি। তাই এই পদ্ধতি নিয়ে ভারতের দ্বিমত রয়েছে। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও সামিটে (SCO-CSTO Outreach Summit) বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই দাবি মোদীর।
এদিন মোদী বলেন যে কোনও দেশে ক্ষমতায় থাকা সরকারের মধ্যে সেদেশের সংখ্যালঘু, মহিলা ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতিনিধি থাকা জরুরি। কিন্তু আফগানিস্তানে সে ছবি দেখা যাচ্ছে না। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসসিও-সিএসটিও আউটরিচ সামিটে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আফগানিস্তানে নতুন ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নারী, সংখ্যালঘু এবং আফগান সমাজের সকল অংশের প্রতিনিধিত্ব অপরিহার্য, যা করা হচ্ছে না।
এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, তালিবানরা ১৫ আগস্ট আশরাফ গনির নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানের জবরদখল নেয়। বলাই বাহুল্য, সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা ছাড়াই দেশ দখল করে তারা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে তালিবানরা মন্ত্রী পরিষদে সংখ্যালঘু, অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী এবং মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত করেনি।
আফগানিস্তানে চলা সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মোদী বলেন ভারতের মত প্রতিবেশী দেশগুলোর ক্ষতি হচ্ছে আফগানিস্তানের পরিবেশ থেকে। এই প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও মানব পাচারের সংখ্যা এই উপমহাদেশে বাড়াতে পারে।
মোদী বলেন, যদি আফগানিস্তানে এভাবেই অস্থিতিশীলতা এবং মৌলবাদ চলতে থাকে, তাহলে বিশ্বজুড়ে জঙ্গি ও চরমপন্থী মতাদর্শকে উৎসাহিত করা হবে। অন্যান্য চরমপন্থী সংগঠনগুলো হিংসাত্মক ঘটনার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে উৎসাহ পেতে পারে।