শিবের বাড়ি কৈলাসেও নজর চিনাদের, এয়ার মিসাইল বসানোয় প্রশ্ন উঠছে হিন্দুদের তীর্থ নিয়ে

  • এবার চিনা ফৌজদের নজর পড়েছে কৈলাসে 
  • রীতিমত বেড়েছে তৎপরতা 
  • বাসানো হচ্ছে এয়ার মিসাইল
  • হিন্দুদের তীর্থকেন্দ্রগুলি যুদ্ধভূমির চেহারা নিচ্ছ

Asianet News Bangla | Published : Aug 23, 2020 7:24 AM IST

এবার ড্রাগনদের নজর পড়ছে হিন্দুদের পূণ্যভূমি কৈলাসে। হিন্দুদের পুরাণগাথা অনুযায়ী এটি মহাদেবের বাসস্থান। আবার বৌদ্ধদের ধর্মক্ষেত্রও এটি। প্রতিবছরই অসংখ্য মানুষ এই পূর্ণভূমিতে ভিড় জমায়। কিন্তু চলতি বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য প্রায় স্তব্ধ পর্যটন। আর বিশেষজ্ঞদের মতে সেই সুযোগটিকেও পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে চিনের  পিপিলস পার্টির সদস্যরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর কৈলাস সংলগ্ন বেশ কয়েকটি স্থানে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে চিন। লাদাখে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তাপ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতেই বেজিং এই  সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


সদ্যো পাওয়া একটি উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে এপ্রিল থেকেই কৈলাস পাহাড় এলাকায় নির্মাণ কাজ শুরু করেছে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। পাশাপাশি এয়ার টু এয়ার মিসাইলও স্থাপন করা হয়েছে। গোয়েন্দারা মনে করছেন এই কৈলাসের মত ধর্মীয় পূর্ণভূমিতে ড্রাগনদের রক্তচক্ষু পড়ায় রীতিমত যুদ্ধভূমির চেহারা নিয়েছে। আগামী দিনে এই এলাকায় হিন্দু বা বৌদ্ধরা কী  করে ভ্রমণ করতে পারবেন কিনা তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। 

গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এয়ার মিসাইল বসানোর জন্য  এইচকিউ-৯ এসএএম সিস্টেম টারপোলিন কভারগুলিও বসানো হয়েছে। তিনটি রেডার বসানো হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে চিনারা আরও রেডার বসানোর তোড়জোড় শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্তা। এই এলাকার অবস্থান ভারতীয় সীমান্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে। 

উত্তরাখণ্ড সীমান্তে সক্রিয় লাল ফৌজ বাড়াচ্ছে নজরদারি, সতর্ক করল গোয়েন্দারা .

গোগরা হটস্প্রিং থেকে সরতে নারাজ ড্রাগনরা, কূটনৈতিক বৈঠকের পরেও সীমান্ত উত্তাপ প্রসমনে 'কাঁটা' প্যাংগ.
কৈলাস ও মানসরবরের যাত্রাপথ যাতে সুগম হয় তার জন্য রীতিমত তৎপরতা গ্রহণ করেছিল ভারত সরকার। ভারত-চিন-নেপাল এই তিন দেশের সংযোগ স্থলে লিপুলেক পর্যন্ত ভারত সরকার একটি রাস্তা নির্মাণ করছে। যার মূল উদ্দেশ্যই হল কৈলাস আর মানসরবরের যাত্রাপথে দিন সংখ্যা কমিয়ে এনে তীর্থযাত্রী বা দর্শনার্থীদের সুবিধে করে দেওয়া। ১৭,০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় ৮০ কিলোমিটার রাস্তাটি নিয়েও চিন ও নেপাল আপত্তি তুলেছিল। প্রতিবেশী দেশগুলির আপত্তির কারণগুলি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। কিন্তু চিনা সেনার এই তৎপরতার কারণে আগামী দিনে ভারতীয় তীর্থযাত্রী বা দর্শনার্থীদের কাছে কৈলাস, মানসরবর বা রাক্ষসতাল হ্রদ ভ্রমণ কতটা সুগম হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

Share this article
click me!