বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, 'আজ আমরা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে চিনের তথাকথিত ২০২৩ সালের চিনের স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।'
চিনের তথাকথিত '২০২৩এর স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ'এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। চিনের অন্যান্য অঞ্চলের মতই অরুণাচলপ্রদেশ ও আকসাই চিনের ওপর দাবি জানিয়ে একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে বেজিং। এই ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরব হল ভারতর। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, চিনের এজাতীয় পদক্ষেপ সীমান্ত সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলবে।
মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, 'আজ আমরা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে চিনের তথাকথিত ২০২৩ সালের চিনের স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।' তিনি আরও বলেন, চিন ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করছে এটি অন্যায্য দাবি। অরিন্দম বাগচী আরও বলেন, 'আমরা এই দাবিগুলি প্রত্যাখ্যান করি। কারণে এগুলির কোনও ভিত্তি নেই। চিনা পক্ষের এই ধরনের দাবি শুধুমাত্র সীমান্ত সমস্যার সমাধানকে আরও জটিল করে তুলবে। ' এই ঘটনার মাত্র এক দিন আগেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিনের দাবিগুলিকে অন্যায্য বলে সওয়াল করেছিলেন।
চিন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাতীয় সীমানা অঙ্কন পদ্দতির ওপর ভিত্তি করে চিন একটি নতুন ম্যাপ তৈরি করেছে। সেটিতে চিন ২০২৩ সালের স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ বলেও দাবি করেছে। গ্লোবাল টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী চিনের নতুন ম্যাপে অরুণাচলপ্রদেশ, আকসাই চিনকে চিনের অংশ হিসেবে দেখান হয়েছে। অরুণাচলকে দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবি করা হয়েছে।
নতুন এই ম্যাপে তাইওয়ানকেও চিন নিজেরদের দেশের অন্তর্ভুক্ত করেছে। দীর্ঘ দিন ধরেই চিন তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে। কিন্তু তাইওয়ানবসী তা মানতে নারাজ। দক্ষিণ চিন সাগরের নাইন-দেশ লাইনকেও চিনের অংশ হিসেবে দাবি করেছে বেজিং। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।
চলতি বছর এপ্রিল মাসে অরুণাচল প্রদেশকে নিজের দেশের অংশ হিসেবে দাবি করেছিল বেজিং। কিন্তু সেই সময়ই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছিল, অরুণাচলপ্রদেশ ভারতের অংশ ছিল। এখনও ভারতের অংশ আর আগামী দিনেও ভারতেরই অংশ হিসেবে থাকবে।
দীর্ঘদিন ধরেই অরুণাচলকে নিজেদের দেশের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে বেজিং। সূমান্তবর্তী এলাকায় সাধারণ পরিকাঠামোও তৈরি করেছে। যানিয়ে একাধিকবার তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারতে। কিন্তু তারপরেই চিন নিজের অবস্থা ত্যাগ করেনি। একদিকে অরুণাচল নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করছে। অন্যদিকে লাদাখ সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিকবার বৈঠকে বসছে। চিনের এই দ্বিচারিতা ভাল চোখে দেখছে না ভারত। তা বিদেশ মন্ত্রক একাধিকবার স্পষ্ট করে দিয়েছে।