ভারত ও চিনের সামরিক বৈঠকের জল্পনার মধ্যেই নয়া ছবি। পূর্ব লাদাখে ডেমচকের চার্দিং নালার কাছে দেখা মিলল চিনা সেনার একাধিক তাঁবুর।
ভারত ও চিনের সামরিক বৈঠকের জল্পনার মধ্যেই নয়া ছবি। পূর্ব লাদাখে ডেমচকের চার্দিং নালার কাছে দেখা মিলল চিনা সেনার একাধিক তাঁবুর। ভারতীয় ভূখন্ডের মধ্যে চিনা তাঁবু কেন, উঠছে প্রশ্ন। যদিও সেনা আধিকারিকদের দাবি চিনা সেনার ওই তাঁবু স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যবহার করছেন, সেখানে কোনও সেনা জওয়ানের উপস্থিতির খোঁজ মেলেনি। তবে ভারতীয় ভূখন্ডে কেন চিনা সেনার তাঁবু থাকবে, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এদিকে দুই দেশের মধ্যে সামরিক বৈঠক কবে হবে সে বিষয়ে কোনও তথ্য মেলেনি। কারণ ২৬ শে জুলাই অর্থাৎ কার্গিল বিজয় দিবসে আলোচনা করতে চেয়েছিল চিন। কিন্তু এইদিন বৈঠকে বসতে রাজী হয়নি ভারত। ফলে ১২তম সামরিক বৈঠক কবে হবে সেনিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এদিকে, সোমবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন।
রাহুল গান্ধীর দাবি ভারতীয় ভূখন্ডে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ডেমচকে চিনা সেনার গতিবিধি আন্দাজই করতে পারেনি। কীভাবে চিনা সেনার মোকাবিলা করতে হবে, সে সম্পর্কে অবগতই নয় কেন্দ্র সরকার বলে দাবি রাহুল গান্ধীর।
৯০য়ের দশকে ভারত চিন জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (JWG)-এর বৈঠকে স্থির করা হয়েছিল ডেমচক ও ট্রিগ হাইটসে বিতর্কিত এলাকা রয়েছে। পরে বিতর্কিত এলাকার তালিকায় আরও ১০টি জায়গান নাম জুড়ে যায়। সেগুলি হল সমর লুংপা, ডেপসাং বালজ, পয়েন্ট ৬৫৫৬, চাংলুং নালা, কোঙ্গকা লা, প্যাংগং লেকের উত্তর পাড়, স্প্যানগার, মাউন্ট সাজুন, ডামচেলে, চুমার।
২০২০ সালে ভারত চিন সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর পূর্ব লাদাখে আরও ৫টি বিতর্কিত এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। গালওয়ান ভ্যালির কেএম১২০, শায়ক সুলা এলাকার পিপি১৫, পিপি১৭এ, রেচিং লা ও রেজাং লা।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ১২তম সামরিক বৈঠকে দুদেশের মধ্যে ডেপসাং, গোগরা ও হট স্প্রিং এলাকায় সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে আলোচনা চলবে। সেনা সূত্রে খবর, এই বৈঠক চাইছে ভারতও। এদিকে, নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে উত্তরাখন্ড সীমান্তে চিনা সেনার গতিবিধি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর এবার উত্তরাখণ্ডের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় তৎপরতা বাড়াচ্ছে চিন। বারাহোটি এলাকায় রীতিমত বাড়ছে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সংখ্যা। সূত্রের খবর এই এলাকায় বাড়ান হয়েছে টহলদারীও।