প্লাস্টিক মুক্ত ভারত গড়তে কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এগোচ্ছে মোদী সরকার। একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার ডাক আগেই দেওয়া হয়েছিল। আর এবার সেই মোতাবেক ১২ রকমের প্লাস্টিক দ্রব্য নিষিদ্ধ করে দেওয়ার পথে এগেচ্ছে কেন্দ্র। তাই সফট ড্রিঙ্কের জন্য ব্যবহৃত ছোট প্লাস্টিকের বোতল, সাজানোর কাজে ব্যবহৃত থার্মোকল এমনকী সিগারেটের গোড়ার অংশটিও এবার নিষিদ্ধ হওয়ার পথে।
প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হলেও তা কার্যকর করার সঠিক সময়সীমা জানানো হয়নি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান জানিয়েছেন এই প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করণের পদ্ধতি ধাপে ধাপে করা হবে।
তবে ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যেখানে কোন কোন ধরণের প্লাস্টিকের দ্রব্য মূলত নিষিদ্ধ করা হবে। সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে,- ৫০ মাইক্রোনের কম প্লাস্টিকের ব্যাগ, বোনা নয় এমন ক্যারি ব্যাগ, ছোট মোড়ক বা প্যাকিং ফিল্ম, ট্র এবং কোনও পানীয় গোলার প্লাস্টিকের কাঠি, কাটলারি, ল্যামিনেট করা প্লাস্টিক বাটি এবং প্লেট, ছোট প্লাস্টিক কাপ এবং কন্টেনার (১৫০ এমএল এবং ৫ গ্রামের কম), কান খোঁচানের কাঠির জন্য ইয়ার বাডে ব্যবহৃত প্লাস্টিক, বেলুন, পতাকা এবং ক্যান্ডির জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিকের কাঠি, সিগারেটের বাট, পলিস্টিরিন, সফট ড্রিঙ্কের জন্য ব্যবহৃত ছোট প্লাস্টিক (২০০ এমএল-এর কম) , রাস্তার ধারে লাগানো ব্যানার (অবশ্যই ১০০ মাইক্রোনের কম)।
চাহিদা মেটাতে বাধা অর্থের যোগান, কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত ৪০ হাজার কোটির আবেদন বায়ুসেনার
১ টাকায় ইডলি বিক্রি করেন আশি বছরের এই বৃদ্ধা, তাঁর ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করতে চান আনন্দ মাহিন্দ্রা
এই তালিকাটি সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড ফর ব্যানিং-এর কাছে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে যে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক চিরতরে নির্মুল করে ফেলতে দেশের দূষণ বিরোধী সংস্থা একটি খসড়া পরিকল্পনাও গড়়ে তুলেছে বলে খবর। তবে এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বাধীনতা দিবসের দিন ভাষণ দেওয়ার সময়ে দেশ আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনের দিন থেকেই একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বাতিলল করার ডাক দিয়েছিলেন।