৭৫ বছরের সিদ্দারামাইয়া কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্য়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৩-১৮ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সিদ্দারামাইয়া। অন্যদিকে কংগ্রেসে নেতা কনকপুরার বিধায়ক ডিকে শিবকুমার। মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে রয়েছে এই দুই নাম।
কর্ণাটকে কংগ্রেসের দারুণ প্রত্যাবর্তন। দক্ষিণের দূর্গ বা একমাত্র রাজ্য থেকে বিজেপিকে সরিয়ে নিয়ে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি। যা ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে রীতিমত অক্সিজেন যোগাবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও কংগ্রেসের কাঁটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে রয়েছে কর্ণাটক প্রদেশ কমিটির সভাপতি ডিকে শিবকুমার ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
৭৫ বছরের সিদ্দারামাইয়া কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্য়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৩-১৮ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সিদ্দারামাইয়া। অন্যদিকে কংগ্রেসে নেতা কনকপুরার বিধায়ক ডিকে শিবকুমার। দুজনেই মুখ্যমন্ত্রীর লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে। ১০ বছর পরে বিশাল জয়ে ক্ষমতায় ফেরার পথে কাঁটা বিছিয়ে রেখেছে এই দুই নেতার দ্বন্দ্ব। পরিস্থিতি সামাল দিতে শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন হতে পারে। কংগ্রেসের কর্ণাটক নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রণদীব সুরজেওয়ালা জানিয়ছেন রবিবার অর্থাৎ কাল বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে কংগ্রেসরে আইন সভার অর্থাৎ নব নির্বাচিত বিধায়কদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
রাত নটা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী কংগ্রেসের পক্ষে ৪২.৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। রাজ্যের ছয়টি অঞ্চলের মধ্যে, কংগ্রেস ওল্ড মাইসুরু, মুম্বাই কর্ণাটক, হায়দ্রাবাদ কর্ণাটক এবং মধ্য কর্ণাটক অঞ্চলে জয়লাভ করেছে। বিজেপি শুধুমাত্র উপকূলীয় কর্ণাটক নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে। বেঙ্গালুরুতে মিশ্র ভোট পড়েছে। এর আগে কংগ্রেস ১৯৯৯ সালে সালে ১৩২টি আসনে জয় পেয়েছিল।
অন্যদিকে দলের পরাজয় নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই। শনিবার রাতেই রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলটের কাছে পদত্যাগপত্র দমা দেন। রাজ্যপাল পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়েও কম আসন পেয়েছে বিজেপি। যার বিশ্লেষণ প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন বিজেপি ভুল সংশোধন করবে।
কর্ণাটকে নিরঙ্কুশ জয় পেল কংগ্রেস। ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ১৩৬টি আসন। প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি পেয়েছে ৬৫টি আসন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে জনতা দল সেকুলার। তবে কুমারস্বামীর দলের দৌড় ১৯ আসনেই থেমে গিয়েছে। বাকিরা পেয়েছে ৪টি করে আসন। এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। প্রথম থেকেই কংগ্রেস এগিয়ে ছিল বিজেপির তুলনা। দিনের শেষে শেষ হাসি হাসল শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস।
এদিন কর্ণাটক জনমতের রায় সম্পূর্ণ বিজেপির বিরুদ্ধেই গিয়েছে। কারণ দলের ১৪ জন মন্ত্রী পরাজিত হয়েছে। তুলনায় কংগ্রেস বড় জয় পেল। কারণ ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। আর কর্ণাটকে মিলিঝুলি সরকার হবে না বলেও মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন গত ৩৫ বছর পরে তাঁরা কর্ণাটকে এমন সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পেরেছেন। জনগণের চাহিদা পুরণ করাই হবে তাঁর মূল উদ্দেশ্য। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস দলের নবনির্বাচিত বিধায়কদের বেঙ্গালুরু আসার নির্দেশ দিয়েছে। কে মুখ্য়মন্ত্রী হবে তাই নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ কংগ্রেস ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। একটি সূত্রের দাবি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার হোক মুখ্যমন্ত্রী। অন্য গোষ্ঠীর দাবি আগের মতি সিদ্দারামাইয়াকেও মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। তাঁর ছেলেও এই দাবি জানিয়েছেন। সিদ্দারামাইয়া লিঙ্গায়েত নেতা। লিঙ্গায়েতদের কাছে টানারও একটি সুযোগ পাবে কংগ্রেস। তবে খাড়গে বলেছেন এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।