মদনীতি মামলায় কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়াবেন না, আপ-এর উল্টো পথে হেঁটে বার্তা কংগ্রেসের

Published : Apr 16, 2023, 08:55 PM IST
yuvamorcha insulted indian flag while tiranga yatra youth congress complaint in palakkad

সংক্ষিপ্ত

অরবিন্দ কেজরিওয়ালে পাশে না দাড়াতে আহ্বান কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেনের। তাঁর কথায় দুর্নীতির টাকা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে খরচ হয়েছিল গোয়া , গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে। 

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর অরবিন্দ কেরজিওয়াল তাঁর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছিলেন। তিনি গণতন্ত্রের জন্য রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ানোপ বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু কেজরিওয়ালকে সিবিআই তলব করার পরে সম্পূর্ণ অন্য পথে হাঁটল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন টুইটারে খোলা চিঠি লিখে কেজরিওয়ালকে চড়া সুরে আক্রমণ করলেন দুর্নীতি ইস্যুকে। পাশাপাশি তাঁকে যেন কোনও রাজনৈতিক দল সমবেদনা না জানায় তারও আবেদন জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। পাশাপাশি অজয় মাকেনের অভিযোগ কেজরিওয়াল ও তাঁর দলের একাধিক নেতা মন্ত্রী দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। বেআইনিভাবে উপার্জিত অর্থ তারা দিল্লি, পঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্যের নির্বাচনে ব্যায় করেছে।

যদিও অজয় মাকেন টুইটারে লেখা বার্তায় প্রথমেই জানিয়েছে দিয়েছেন, গোটাটাই তাঁর ব্যক্তিগত মত। তিনি বলেছেন, 'আমি বিশ্বাস করি যে কেজরিওয়াল এবং তার সহযোগীদের মতো ব্যক্তিরা যারা গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন তাদের কোনো সহানুভূতি বা সমর্থন দেখানো উচিত নয়।' তিনি আরও হলেন, মদ দুর্নীতি, ঘিদুর্নীতির অভিযোগদুলি অবশ্যই তদন্ত করে দেওয়া প্রয়োজন। দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তি দেওয়া জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

 

 

টুইট বার্তায় অজয় মাকেন বলেছেন,ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস -সহ সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের এটা স্বীকার করে নেওয়া ভাল যে কেজরিওয়াল দুর্নীতির মাধ্য়মে উপার্জিত টাকা পঞ্জাব, গোয়, গুজরাট, হিমাচলপ্রদেশ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে কংগ্রেস পার্টির বিরুদ্ধে প্রচার করার জন্য খরচ করেছে। তিনি আরও বলেছেন কেজরিওয়াল ২০১৩ সালে আন্না হাজারের সঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার লক্ষ্যে আম আদমি পার্টি প্রতিষ্টা করেছিলেন। দলটি দলটি লোকপাল বিল প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যা বিরোধী দলগুলি কংগ্রেস পার্টির দুর্নীতির সমাধান হিসাবে দেখেছিল।

যাইহোক, কেজরিওয়াল একটি শক্তিশালী লোকপাল বিলের দাবিতে, ক্ষমতায় আসার মাত্র ৪০ দিন পরে, ফেব্রুয়ারি ২০১৪-এ তার নিজের সরকার ভেঙে দিয়েছিলেন, যা পরে প্রকাশ করা হয়েছিল। তারপরে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নতুন ও শক্তিশালী লোকপাল বিলের জন্য প্রবল চাপ দিতে ব্যার্থ হয়েছিল। পরিবর্তে, তাদের বিক্ষোভ, মিছিল এবং পাল্টা অভিযোগের জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছে শুধুমাত্র আরও ক্ষমতা চাওয়ার জন্য। এখন যেহেতু সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কেজরিওয়ালকে তলব করেছে তাই এই সময় তাদের সমর্থন করা ঠিক হবে না।

লেখার শেষে তিনি বলেছেন, তিনি যোগ্য আইনজীবী ও কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদে তাই দলের নেতা কর্মীদের কাছে কেরজিওয়ালকে সমর্থন না করার আহ্বান জানিয়েছেন। যদি কেউ পেশাগত কারণেই কেজরিওয়াল ও তাঁর দলের সদস্যদের সাহায্য করে তাহলে তা দলের নিচু তলার নেতা ও কর্মীদের কাছে একটি ভুল বার্তা যাবে। দলের নেতা ও কর্মীরা বিভ্রান্ত হবে। যা দলের ক্ষতি ডেকে আনবে বলেও সাবধান করে দিয়েছেন তিনি।

দিল্লির মদ নীতি মামলায় তলব করা হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সিবিআই তলব করেছিল। যদিও তাঁর আগে এই মামলায় জেলে রয়েছেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।

PREV
click me!

Recommended Stories

ভারতের এয়ারলাইনের ইতিহাসে বড় বিপর্যয়! ইন্ডিগো একদিনে তার ৪০০ ফ্লাইট বাতিল করেছে
কেন ২০ ডিসেম্বর মোদী নদিয়ার রাণাঘাটে জনসভা করবেন? জানালেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়