পুদুচেরি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারল না কংগ্রেস সরকার, আস্থাভোটের পর পদত্যাগ মুখ্যমন্ত্রীর

  • পতন হল কংগ্রেসের পদুচেরি সরকারের 
  • সোমবার ছিল পুদুচেরির আস্থা ভোট
  • আস্থা ভোটের আগেই কংগ্রেস বিধায়কদের ওয়াকআউট
  • এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামী পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন

Asianet News Bangla | Published : Feb 22, 2021 7:01 AM IST

পতন হল পুদুচেরির কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের। আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ-ই করতে পারেনি কংগ্রেস। এরপরই লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা করেন। সোমবার পুদুচেরি বিধানসভায় ছিল মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামীর সরকারের আস্থাভোট। বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতেই নারায়ণস্বামী বলেন, জনতার সমর্থনকে সম্বল করেই তাঁরা সরকার তৈরি করেছিলেন। সরকার তৈরিতে তারা একমাত্র ডিএমকে-র সাহায্য নিয়েছিলেন। গত কয়েক বছরে রাজ্যে যতগুলি উপনির্বাচন হয়েছে তার সবকটিতেই কংগ্রেস জয়ী হয়েছে বলেও জানান তিনি।  কিন্তু যেভাবে পদুচেরির জনতার সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত হয়েছে তা নিন্দনীয় বলেও মন্তব্য করেন নারায়ণস্বামী। 

আরও পড়ুন- পেট্রোলের দাম নিয়ে উদ্বেগ, জনগণের দুর্দশা আর সরকারের লাভ নিয়ে মোদীকে লম্বা চিঠি সনিয়ার

নারায়ণস্বামীর বক্তব্য শেষ হতেই শুরু হয় আস্থাভোটের প্রক্রিয়া। আস্থা ভোটের পরই কংগ্রেস বিধায়করা বিধানসভা ওয়াকআউট করেন। নারায়ণস্বামী বিধানসভা কক্ষ ত্যাগ করার আগে বলেন, যারা কংগ্রেসের চিহ্নে মানুষের সমর্থন নিয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন এবং পরে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছেন, তাঁরা সাধারণ মানুষকে কী জবাব দেবেন তা ভেবে নিন। নৈতিকতা থাকলে তাঁরা সাধারণ মানুষের চোখে চোখ রাখতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন নারায়ণস্বামী। 

আরও পড়ুন- রাগ করে ইস্তফা দিলেন বিধায়ক, আস্থা ভোটের আগের দিন আরও কোনঠাসা অবস্থা কংগ্রেসের 

পুদুচেরি-তে কংগ্রেসের সরকার পতনের জন্য প্রাক্তন রাজ্যপাল কিরণ বেদী এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন নারায়ণস্বামী। তাঁর অভিযোগ এরা মিলিতভাবে চক্রান্ত করে সরকার ফেলে দিয়েছে। তিনি আরও জানান যে, পদত্যাগী বিধায়করা যদি আমাদের সঙ্গে থাকতেন তাহলে মানুষের বিশ্বাসে তৈরি হওয়া সরকারের আয়ু আরও দীর্ঘ হতে পারতো। পরের বিধানসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস সরকার গড়ার সম্ভাবনা থাকতো। 

পুদুচেরির সরকারের পতন যে হচ্ছে তা সোমবারই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। কারণ ৬ বিধায়কের পদত্যাগের পর কংগ্রেসের সবমিলিয়ে বিধায়ক সংখ্যা ছিল ১২, আর বিরোধীদের ১৪। বলতে গেলে এই রাজ্যে সরকারের পতন ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।

Share this article
click me!