বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের ৩৫ জন বিধায়ক যোগাযোগ করেছেন। যারা দল ছাডডার জন্য তৈরি রয়েছে। দাবি বিজেপি নেতার।
কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার লোকসভা ভোটের আগেই পড়ে যেতে পারে। ২৫ জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে হাত মিছিয়েছে। তেমনই দাবি করেছে বিজেপি। যা নিয়ে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্যরাজনীতিতে। কারণ এখনও এক বছরও হয়নি কর্ণাটকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গঠন করেছে কংগ্রেস। বিজেপির বিয়পুরের বিধায়ক ইয়াতনাল সম্প্রতি আশা প্রকাশ করেছেন গেরুয়া শিবির খুব তাড়াতাড়ি কর্ণাটকের ক্ষমতায় ফিরে আসবে।
বিজেপি বিধায়ক সম্প্রতি বলেছেন, 'কংগ্রেস ১৩৫টি আসন পেয়েছে। কিন্তু তারপরেও কংগ্রেস নেতারা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছেন না। কারণ কংগ্রেস থেকে ৩০ জন বিধয়ক যদি বেরিয়ে যায় তাহলেই কংগ্রেস সরকারের পতন হবে। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের ৩৫ জন বিধায়ক যোগাযোগ করেছেন। যারা দল ছাডডার জন্য তৈরি রয়েছে।' এখানেই শেষ নয় বিজেপি বিধায়ক আরও বলেছেন, কংগ্রেসের কিছু মন্ত্রীর আচরণে দলের মধ্যেই ক্ষোভ বাড়ছে। সেই কারণে কংগ্রেসের অনেকেই দল ছাড়তে তৈরি রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, কংগ্রেসের ৩৫-৪০ জন যদি দল ছাড়তে প্রস্তুত থাকে তাহলেই তাঁরা তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তখনই কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়া হবে।
বিজেপি কংগ্রেস নেতাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি গ্যারেন্টি স্কিম নিয়েও দুর্নীতি ও উন্নয়নের তহবিল নয়ছয়ের অভিযোগ তুলেছে। বিজেপির দাবি কংগ্রেসের এই সব দুর্নীতি দেখে দলেরই একাংশ ক্ষুদ্ধ হয়ে দল ছাড়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল যে সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার সম্প্রতি বলেছেন, রাজ্যের কংগ্রেস সরকার ফেলার জন্য সিঙ্গাপুরে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সম্প্রতি কুমারস্বামী সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। যদিও তাঁর ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন, এটি তাদের পারিবারিক সফর। কিন্তু তার আগেই কুমারস্বামী বিজেপি নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন। বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই ও জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। সেখানে তাদের সিঙ্গাপুর নিয়ে প্রশ্নও করা হয়। কুমারস্বামী এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। দুই নেতাই জানিয়েছিলেন বিধানসভায় দুই দলের বিধায়কদের সঙ্গে সমান আচরণ করা হচ্ছে না। দুই দলের বিধায়কদের সঙ্গে শৃঙ্খলাহীন ও অনিয়মিত আচরণ করা হচ্ছে। সেই কারণে ১০জন বিজেপি বিধায়ককে বরখাস্ত করা হয়েছে। যা নিয়ে আগামী দিনে দুই দলই একত্রিয় হয়ে আন্দোলনে নামবে। একই সঙ্গে বিজেপি আর জনতা দল সেকুলার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, তারা রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে লড়াই করবে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সব রকম লড়াইয়ে তারা একসঙ্গে থাকবে।যা নিয়ে কর্ণাটকের রাজনীতিতে চাপানউতোর বাড়ছে। কারণ গত নির্বাচনের কিছুদিন পরেই বিজেপি কর্ণাটকের কংগ্রেস আর জনতা দলের সরকার ভেঙে দিয়েছিল।