শশী থারুর বনাম মল্লিকার্জুন খাড়গের লড়াই, কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন দাখিল

শশী থারুর বনাম মল্লিকার্জুন খাগড়ে- কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন হবে দুই নেতার মধ্যে। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন তুললেও শেষ মুহূর্তে তা দাখিল করেননি দিগ্বিজয় সিং। অন্যদিকে রাজস্থানের রাজনৈতিক অস্থিতরতার কারণে আগে থেকেই সভাপতির দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন অশোক গেহলট।

Saborni Mitra | Published : Sep 30, 2022 10:12 AM IST

শশী থারুর বনাম মল্লিকার্জুন খাগড়ে- কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন হবে দুই নেতার মধ্যে। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন তুললেও শেষ মুহূর্তে তা দাখিল করেননি দিগ্বিজয় সিং। অন্যদিকে রাজস্থানের রাজনৈতিক অস্থিতরতার কারণে আগে থেকেই সভাপতির দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন অশোক গেহলট। তবে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গুঞ্জন ছিল জি-২৩র নেকা মণীষ তিওয়ারি সভাপতি নির্বাচনের দৌড়ে সামিল হবেন। কিন্ত শেষপর্যন্ত তিনি মনোনয়ন তোলেননি। 

মোটকথা সভাপতি নির্বাচনে লড়াই হবে শশী থারুর আর মল্লিকার্জুন খাড়গের বিরুদ্ধে। এদিন ঢাঁক ঢোল নিয়েই এআইসিসির সদর দফতরে এসে মনোনয়ন পেশ করেন শশী থারুর। তবে তার আগে সকালেই তিনি রাজঘাটে দিয়ে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন। তার আগে টুইট করে তিনি জানিয়েছেন ২১ শ শতাব্দীর ভারতের সেতু নির্মাণকারী ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা জানাই। একই সঙ্গে তিনি রাজীব গান্ধীকে উদ্ধৃত করে বলেন যে ভারত একটি পুরনো দেশ। কিন্তু তিনি ছিলেন একটি পুরনো জ্যোতি। ভারতকে স্বাধীন, শক্তিশালী আর আত্মনির্ভরশীল করায় তিনি ছিলেন উদ্যোগী। 

অন্যদিকে মল্লিকার্জুন খাড়গকে প্রার্থী পদে প্রস্তাব করেছিলেন অশোক গেহলট। রাজনীতিবীদদের অনুমান গান্ধীদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে তাঁর দিকেই। কারণ তিনি গান্ধীদের পছন্দের প্রার্থী। খাড়গের সঙ্গে এদিন ছিলেন প্রমোদ তিওয়ারি, পিএল পুনিয়া, একে অ্যান্টনি , পবন কুমার বনসাল ও মুকুল ওয়াসনিক। প্রমোদ তিওয়ারি বলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে একটি দলের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে অন্যতম। একই সঙ্গে তিনি একজন দলিত প্রার্থী। অন্যদিকে খাড়গেকে সমর্থন জানিয়েছেন জি-২৩ নেতা অশোক শর্মা আর মণীষ তিওয়ারিও। 

আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। ফল প্রকাশ হবে ২৪ অক্টোবর। দীর্ঘদিন পরেই কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হচে চলেছে। যা নিয়ে ক্রমশই উৎসহ বাড়ছে কংগ্রেস কর্মীদের। 

কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের হিসেব বদলে দিয়েছে রাজস্থান সংকট। কারণ অশোক গেহলট অনুগামী প্রায় ৯০ জন বিধায়ক দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। রবিবার তাঁরা রাজ্যের স্পিকার সিপি জোশীর সঙ্গে দেখা করেন। বিধায়কদের দলে ছিলেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়াল। প্রথমে তারা শান্তি ধারিওয়ালের বাড়িতে বৈঠক করেন। সেই বৈঠেকেই স্থির হয় অশোক গেহলট যদি কংগ্রেস সভাপতি হন আর শচীন পাইলটকে যদি পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয় তাহলে তারা তাঁকে সমর্থন করবে না। তারা গণইস্তফা দেবে বলেও জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, ২০২০ সালে শচীন পাইলট যখন বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল তখনই ঠিক হয়েছিল ও প্রস্তাব পাশ হয়েছিল পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী গেহলট অনুগামী অর্থাৎ তাদের মধ্যে থেকেই নির্বাচন করা হবে। এখন যদি সেই প্রস্তাবের বিরোধীতা করা হয় তাহলে তারা কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।  ধারিওয়ালের বাড়িতে  সমস্ত পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল। 

Read more Articles on
Share this article
click me!