'আব কি বার ট্রাম্প সরকার' - মোদীর উচ্ছ্বাসের কোপ পড়বে কি, বাইডেনের জয়ে বাড়ছে ভারতের শঙ্কা

জোর গলায় তুলেছিলেন স্লোগান 'আব কি বার ট্রাম্প সরকার'

কিন্তু, আমেরিকায় ট্রাম্প নয়, জিতেছেন বাইডেন

এবার কি হাউডি মোদী অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীর সেই স্লোগানই বুমেরাং হয়ে ফিরবে

বাইডেন প্রশাসনের রোষাণলে পড়বে না তো ভারত

শনিবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে  জো বাইডেনের জয় নিশ্চিত হওয়ার পরই প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ভারতীয়-মার্কিন কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কিন্তু তাতে ভবি ভোলার নয়। গত নভেম্বরে হিউস্টনে হাউডি মোদী অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী খোলাখুলি মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে স্লোগান দিয়েছিলেন 'আব কি বার ট্রাম্প সরকার'। সেই স্লোগানই এখন বুমেরাং হয়ে ফিরছে মোদীর দিকে। তৈরি হয়েছে আশঙ্কা, সেই পদক্ষেপের জেরে বাইডেন প্রশাসনের রোষাণলে পড়বে না তো ভারত?  

Latest Videos

রবিবার, কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি টুইট করে হিউস্টনে হাউডি মোদী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য সেই 'উল্লাস' প্রকাশ নিয়ে একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তিনি বলেছেন কখনও অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পক্ষ নেওয়া উটিত নয়। নরেন্দ্র মোদীর ওই পদক্ষেপ ঘুরে এসে ভারতে হানা দেবে না বলেই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। কিন্তু, সেই আশার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আশঙ্কা।

মার্কিন নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগে থেকেই অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নতি করার প্রয়াশের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন আরেক কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল। তখনও মার্কিন নির্বাচনের প্রচার চলছে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত কে সমর্থন করতে গিয়ে ট্রাম্প, ভারত, চিন ও রাশিয়ার বায়ুকে 'নোংরা' বলেছিলেন। কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করার বিষয়ে তাঁর সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে তিনি বলেছিলেন ভারত, চীন ও রাশিয়াই বায়ুকে দূষিত করছে।

এই নিয়ে মোদীকে ঢুকে কপিল সিবাল দাবি করেছিলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর বন্ধুত্বের ফল হল -

১) ভারতের কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলা

২) ভারতের বায়ু নোংরা, এই কথা শোনা

৩) ভারতকে 'ট্যারিফ কিং' বলে সম্বোধন করা

ভারতের বিদেশ দপ্তরের কর্তারা অবশ্য দাবি করেছেন, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক, কে ক্ষমতায় আছেন তার উপর নির্ভর করে নেই। প্রেসিডেন্ট ওবামার সময়ে ভারতের সঙ্গে অসামরিক পরমাণু চুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সম্পাদনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কাজেই আগামী দিনেও তাঁকে সেই ভূমিকাতেই পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অন্যান্য অনেক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গেই ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদী যে কূটনৈতিক সাফল্য আনার কৌশল নিয়ে থাকেন, তা ট্রাম্পের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলই বলা যায়। হাউডি মোদী-তে ট্রাম্পের হয়ে ভোট চাওয়া থেকে ভারতে ডেকে এনে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া - কোনও বিনিয়োগই এখন কাজে লাগবে না। প্রসঙ্গত শি জিনপিং-একর সঙ্গেও একই কৌশল নিয়েছিলেন মোদী। তাও মুখ থুবরে পড়েছে লাদাখে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'মাননীয়া আপনার শাড়িতে দুর্নীতির কালো ছোপ ছোপ দাগ' মমতাকে (Mamata) এ কী বললেন অগ্নিমিত্রা ?
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
আজ রাজ্যে উপনির্বাচনের (By Election) রেজাল্ট আউট, সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগণনা (Vote Counting)
PM Modi Live : প্রধানমন্ত্রী মোদীর বড় ঘোষণা! সরাসরি দেখুন
ছয় Bidhan Sabha কেন্দ্রের ছটিতেই এগিয়ে TMC, আবির খেলায় মাতলেন গঙ্গাসাগরের তৃণমূল কর্মীসমর্থকরা