ফুসফুসের সঙ্গে ক্ষতি করে মস্তিষ্কের স্নায়ুরও, করোনার জীবাণু রীতিমত ভয়ঙ্কর বলে দাবি চিকিৎসকদের

  • করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্কের স্নায়ু
  • চোখের সমস্যা নিয়ে এইমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন 
  • কিশোরীর দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়েগিয়েছিল 
  • এখনও এক কিশোর ভর্তি রয়েছে 
     

Asianet News Bangla | Published : Oct 20, 2020 7:01 AM IST / Updated: Oct 21 2020, 10:58 PM IST

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমলেও এক মারাত্মক ছোঁয়াচে জীবাণুকে হালকাভাবে না নেওয়ায়ই ভালো। কারণ ইতিমধ্যেই দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স বা এইমস হাসপাতালে এমন এর রোগী ভর্তি হয়েছে  যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। আর করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পরই দেখা গেছে শিশুটির মস্তিস্কের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন করোনাভাইরাসেই আক্রান্তের মস্তিষ্কের স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।  এটি ভারতে প্রথম এই জাতীয় কেস বলেও দাবি করা হয়েছে। 


নতুন দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি ছিল ১১ বছর বয়সী এক কিশোরী। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরই তাঁর দৃষ্টিশক্তি কমেগেছে। মস্তিষ্কের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেই এই জাতীয় রোগ দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। এইমসের চিকিৎসকদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১১ বছরের মেয়েটি করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণেই একিউট ডাইমেলিনেটিং সিন্ড্রোম দেখা দিয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগ এই প্রথম দেখা গেল। চিকিৎসকরা বলেছেন স্নায়ুগুলি মেলিন নামের একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর দিয়ে আচ্ছাতিত থাকে। যা মস্তিষ্কের বাইর বার্তাগুলি শরীরের মাধ্যমে দ্রুত ও মসৃণভাবে যেতে সাহায্য করে। কিন্তু এক্ষেত্র দেখা গেছে মেলিন নামের ওই স্তরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সেই কারণেই প্রভাব পড়েছে দৃষ্টিশক্তিতে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মস্তিষ্কের সংকেতগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দৃষ্টিশক্তির পাশারাশি পেশী আন্দোলন, ইন্দ্রিয় আর মূত্রাশয় ও অন্ত্রে প্রভাব পড়তে পারে। 

মহামারি রুখতে সামনের সারিতে ভারত, করোনা প্রতিষেধক নিয়ে জল্পনা বাড়ালেন বিল গেটস ...

উৎসবের মুখে করোনা আক্রান্তের গ্রাফে স্বস্তি, ২ মাস পরে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজারের নিচে ...
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন করোনাভাইরাস ফুসফুসের পাশাপাশি মস্তিষ্কের প্রভাব ফেলে তথ্য তাদের হাতে ছিল। আক্রান্ত কিশোরী ভর্তি ছিলেন চিকিৎসক গুলেতির তত্ত্বাবধানে। ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে তাঁর শরীরের অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রায় ৫০ শতাংশ দৃষ্টিশক্তির উন্নতির পর কিশোরীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এখনও তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন করোনা আক্রান্ত এক ১৩ বছরের কিশোর জ্বর আর এনসেফালাইটিস নিয়েও তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণেই তাঁর এই রোগ দেখা দিয়েছে কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা। 

Share this article
click me!