বহস্পতিবারের তুলনায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ শতাংশ কমেছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকেদের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ১৯এ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৩৯৩ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯১১ জনের। সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা ৪৪ হাজারেও বেশি। দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৭ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯৫০। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার আক্রান্তের সংখ্যা ৫ শতাশ বেড়েছিল। তাই এদিন কিছুটা হলেও করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী।
অলিম্পিকে দর্শক শূন্য টোকিও, করোনা আতঙ্কে জারি জরুরি অবস্থা
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩৬ কোটি ৮৯ লক্ষেরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকদের টিকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য এনএকে আরোরা। তিনি বলেছেন, আগামী দিনে দেশে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহ বাড়বে। আর সেই সত রাজ্যগুলিকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও মনে করেন তিনি। দ্রুততার সঙ্গে টিকা দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলির উচিৎ টিকাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো। দিনে দিনে ভ্যাকসিন সরবরাহ বাড়বে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করছেন।
কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গে শিশুদের নিরাপত্তায় জোর, সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু শিশুদের করোনা টিকাকরণ
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী এদিন দেশে দৈনিক সংক্রমণে এখনও এগিয়ে রয়েছে কেরল। হত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজারের বেশি। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ক্রমতালিকার প্রথমে থাকা মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যন হল ৯ হাজারের কিছু বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯৫ জন।
পূর্ব লাদাখ সেক্টর, আবারও চিনকে কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দিল ভারত
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্য পরিষেবায় জোর দেওয়া হয়েছে। শিশুর স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্যও ঢেলে সাজান হচ্ছে হাসপাতালগুলিকে। প্রতিটি জেলায় শিশুসেবা কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন শিশুদের জন্য ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বাড়ানোর ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।