ভারতে যখন নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে ঠিক তখনই সুখবর পাওয়া গেল। ইন্ডিয়ার রিসার্চ অব মেজডিক্যাল কাউন্সিলের এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন আগামী বছর ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসের শুরুতেই হাতে পাওয়া যাবে ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিষেক। আইসিএমআরএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই হাতে এসে যাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই প্রতিষেধক।
বৃহস্পতিবার আইসিএমআর ও কোভিড-১৯এর টাক্স ফোর্সের সদস্য রজনী কান্ত বলেন ইতিমধ্যেই প্রতিষেধকটির কার্যকারিতা দেখা যাচ্ছে। রজনী কান্ত আরও বলেন, চলতি মাসেই শুরু হবে প্রতিষেধকটি শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হবে। তবে আগের ট্রায়ালগুলি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিষেধকটিকে এখনও পর্যন্ত নিরাপদ বলেই মনে করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর সেই কারণেই আগামী বছর গোড়ার দিকেই ভারত বায়োটেকের বিকাশ করা করোনা প্রতিষেধক হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক, আইসিএমআর ও পুনের ন্যাশানাল ভাইরোলজির যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে করোনার দেশীয় প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন। আইসিএমআরএই বিজ্ঞানী রজনী কান্ত বলেন প্রতিষেধকটি প্রথম ও দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশাপাশি সফল হয়েছে প্রাণী গবেষণা সুরক্ষার পরীক্ষাতেই। তাই এটি নিরাপদ বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রান না হওয়া পর্যন্ত ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন কিছুটা ঝুঁকি নিতে রাজি থাকলে এখনই প্রতিষেধক দেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে সরকার জরুরি পরিস্থিতিতে এই প্রতিষেধক দেওয়ার কথা ভাবতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন সেপ্টেম্বরেই জানিয়েছেন জরুরি ভিত্তিতেই প্রতিষেধক দেওয়া শুরু করা যেতে পারে। প্রথমে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রতিষেধক দেওয়া হবে। পাশাপাশি অসুস্থ, শিশু ও বৃদ্ধ ব্যক্তিদেরও প্রথম দফায় প্রতিষেধক দেওয়া যেতে পারে। চলতি বছর ডিসেম্বরেই বাজারে আসতে পারে ব্রিটেনের অস্ট্রোজেনকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকাশ করা প্রতিষেধক। এই প্রতিষেধক তৈরির বরাত পেয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউ।