সাধারণ রোগে পরিণত হবে করোনা, সেভাবে প্রভাব ফেলবে না তৃতীয় তরঙ্গ, আশা জাগাচ্ছে রিপোর্ট

ভ্যাকসিনোলজিস্ট চিকিৎসক গগনদীপ কাং জানাচ্ছেন করোনার তৃতীয় তরঙ্গ সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারবে না। দ্বিতীয় তরঙ্গে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, তার অর্ধেকও প্রভাব পড়বে না তৃতীয় তরঙ্গে।

Parna Sengupta | Published : Sep 21, 2021 12:11 PM IST

দেশের জন্য বড়সড় স্বস্তি। ভ্যাকসিনোলজিস্ট চিকিৎসক গগনদীপ কাং (vaccinologist Dr Gangandeep Kang) জানাচ্ছেন করোনার তৃতীয় তরঙ্গ (third wave) সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারবে না। দ্বিতীয় তরঙ্গে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, তার অর্ধেকও প্রভাব পড়বে না তৃতীয় তরঙ্গে। তবে নিশ্চিন্ত হয়ে যাওয়ার কারণ নেই। সচেতন থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। 

ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক কং সিআইআই লাইফ সায়েন্সেস কনক্লেভে এই বক্তব্য তুলে ধরেন। এই ভাষণে তিনি বলেন নতুন নতুন ভ্যাকসিন করোনার নতুন ভেরিয়েন্টের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবে। টিকাকরণের গতি বৃদ্ধিও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে ত্বরান্বিত করবে বলে মত তাঁর।

করোনার শক্তিশালী নতুন কোনও ভেরিয়েন্ট না এলে তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে চিন্তা সেভাবে নেই বলেই আশ্বস্ত করছেন এই গবেষক। যেহেতু টিকাকরণ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে হচ্ছে ও ভারত রেকর্ড হারে টিকাকরণ চালাচ্ছে, তাই ভারতে তৃতীয় তরঙ্গ সেভাবে প্রভাব ফেলবে না। কারণ টিকাকরণের প্রভাবে করোনা তখন সাধারণ রোগে পরিণত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিছন থেকে ছুরি মেরেছে শুভেন্দু, মীরজাফরের সঙ্গে তুলনা ফিরহাদ হাকিমের

এদিকে, অক্টোবর মাস থেকেই দেশে মিলবে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা। ফলে যে হারে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে, তাতে সুবিধা হবে। অগাষ্ট মাসেই ছাড়পত্র পায় জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থার তৈরি এক ডোজের করোনা ভ্যাকসিন। এটিই ভারতে অনুমোদিত প্রথম এক ডোজের করোনা টিকা। ভারতের মতো বড় দেশে টিকাকরণে দ্রুততা আনতে এই এক ডোজের টিকা বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। 

ভ্যাকসিনের সূঁচ অর্ধেক ভেঙে ঢুকে গেল শরীরে, প্যারালাইসিস হয়ে মৃত্যুর মুখে যুবক

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত অক্টোবরে সিঙ্গল শট ভ্যাকসিনের ৪৩.৫ মিলিয়ন ডোজ হাতে পাবে। গত ৫ অগাস্ট তারিখে জনসন অ্যান্ড জনসন, ভারতে তাদের এক ডোজের কোভিড টিকার জন্য জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের আবেদন করেছিল। মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাটির দাবি, এই ভ্যাকসিন ক্লিনিকাল ট্রায়ালে, গুরুতর রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে  ৮৫ শতাংশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।

Share this article
click me!