করোনার কোপে এবছর কার্যত দফারফা হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজোর। শীত পড়লে কি বিপদ আরও বাড়বে? আশঙ্কার কথা শোনালেন খোদ এইমস-এর অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর দাবি, ইতালি ও চিনের হওয়া গবেষণা দেখা গিয়েছে, ঠাণ্ডা ও বায়ুদূষণের কারণে ছড়াতে পারে করোনা সংক্রমণ।
আরও পড়ুন: বিনামূল্য করোনা প্রতিষেধকের প্রতিশ্রুতি বিজেপির, দেখে নিন কী বলল বিরোধীরা
রাজ্যে করোনা গ্রাফ ফের উর্ধ্বমুখী। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে, দুর্গাৎসবে বন্ধ রাখা আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। করোনা রোধে এবছর রাজ্যের সমস্ত পুজো প্যান্ডেলগুলিকে 'নো এন্ট্রি জোন' ঘোষণা করেছে আদালত। বড় পুজোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ জন, আর ছোট পুজোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ জন থাকতে পারবেন মণ্ডপে। দর্শনার্থীদের প্রবেশের অনুমতি নেই। কিন্তু তাতে কি আদৌ কোনও লাভ হবে? পুজোর পর কী কমবে করোনা সংক্রমণ? এইমস-এর অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, 'সোয়াইন ফ্লুয়ের প্রকোপ যেমন শীতকালে বাড়ে তেমনি কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রেও সেই ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকী, যেভাবে বায়ুদূষণ বাড়ছে, তাতেও সংক্রমণে আরও ছড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্ম শিবিরে করোনার থাবা, শাহনওয়াজের সঙ্গে এক মঞ্চে থেকেই কি সংক্রমিত সুশীল মোদী
এদিকে আবার করোনা রোগীদের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগ বাড়ছে। তাতে কি কোনও উপকার হচ্ছে? এইমস অধিকর্তার দাবি, গবেষণায় দেখা গিয়েছে এমন অনেক রোগীর শরীরের প্লাজমা দেওয়া হয়েছে, যাঁদের শরীরের আগে থেকে প্লাজমা রয়েছে। সেক্ষেত্রে খুব বেশি লাভ হবে না। তবে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত পৌঁছানোর সময় আসেনি, আরও গবেষণার প্রয়োজন। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, ট্রায়াল সফল হলে এবছর শেষ হওয়ার আগে করোনার ভাইরাস চলে আসবে ভারতে।