এশিয়ানেট নিউজের চিফ রিপোর্টার আখিলা নন্দকুমারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে কেরলে। আর সেই নিয়ে ছড়িয়েছে উত্তাপ। একজন সাংবাদিকের খবর প্রকাশ করা মূল দায়িত্ব। সেই কাজে কেন এমনভাবে পুলিশি দমন-পীড়ন তাতে বিতর্কের আঁচ আরও বেড়েছে।
মেদের আদর্শে দ্বিচারিতা আছে- এমন ভাষাতেই কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। এদিন কেরলে রোজগার মেলার উদ্বোধন করতে আসেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী। সেখানেই তিনি কেরলের বাম সরকার তথা পিনারাই বিজয়নের সরকারের তুলোধনা করেন। এশিয়ানেট নিউজের চিফ রিপোর্টার আখিলা নন্দকুমার মহারাজা কলেজের মার্ক লিস্ট দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। আর তারপরই আখিলার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর সংবাদমাধ্যমেরপ সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, কেরলের বাম সরকার এবং সিপিএম-এর দর্শন ও আদর্শ পুরোটাই দ্বিচারিতা ও মতানৈক্যে ভরা। বিবিসি-র বিতর্কিত তথ্যচিত্র নিয়ে এরা আবার মাতামাতি করে এবং নিজেদের আবেগভরা বয়ান দেয়। অথচ, যখন কোনও সাংবাদিক এই কেরলে দাঁড়িয়ে কোনও কিছু নিয়ে রিপোর্ট করে, ঠিক তখনই মত প্রকাশের স্বাধীনতায় মার্কসের তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। আসলে এই কেরলে মার্কসীয় দর্শন এবং কেরল সরকার দুটোই বসে আছে দ্বিচারিতা ও মিথ্যার উপরে।
আখিলা নন্দকুমারের উপরে পুলিশে এমন দমন-পীড়নের প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন মিডিয়া হাউসও। যেমন মালায়ালাম মনোরমা, মাতৃভূমি, মধ্যমাম, কেরালা কৌমুদি-র মত মিডিয়া হাউসে এগিয়ে এসে এই এফআইআর দায়েরের বিরোধিতা করেছে।
মালায়ালাম মনোরমা তাদের প্রচ্ছদ পেজে আখিলা নন্দকুমারের উপরে হওয়া পুলিশি দমন-পীড়নের প্রতিবাদ করতে গিয়ে লিখেছে, 'এটা চিন বা উত্তর কোরিয়া নয়। রাজনৈতিক দলের সম্পাদকের এক্তিয়ার দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। '