Cyclone Biparjoy: বাংলায় 'বর্ষা বিপর্যয়'-এর কারণ কী ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়? চলছে কাটাছেঁড়া

কয়েক দিন আগে পর্যন্ত বঙ্গপসাগরে নিম্মচাপ সক্রিয় ছিল। যার কারণে উত্তর -পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর এই সিস্টেমগুলি পূর্ব ও পশ্চিমে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। ১৬ জুন বিপর্যয়ের ল্যান্ডফল হবে।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বিপর্যয়ের কারণে থমকে গেছে বর্ষা। শুধু পূর্ব ভারতে নয়, গোটা দেশেই থমকে গেছে বর্ষার অগ্রগতি। শুধুমাত্র কয়েকটি এলাকায় স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

সক্রিয় ঘূর্ণিঝড় বিপরজয় ইতিমধ্যেই মৌসুমী প্রণালীর অগ্রগতিকে প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত করেছে এবং এর অগ্রগতির ক্ষতি করছে। বঙ্গোপসাগরে একটি ট্র্যাফের কারণে বর্তমানে যে সিস্টেমটি বৃষ্টি প্রদান করছে তা একটি প্রাক-মৌসুমি ঘটনা বলে মনে হচ্ছে।

ভারতের আবহাওয়া দফতের প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনালের বিপি যাদব বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় গোটা দেশ থেকে আর্দ্রতা শুষে নিচ্ছে। তাই আর্দ্রতা আরব সাগর, কেরল বা কর্ণাটকের মত উপকূলীয় এলাকায় যাচ্ছে না।

কেরলে দেরিতে বর্ষা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখন বর্ষার তেমন কোনও ধারাবাহিকতা নেই। এই রাজ্যে বর্ষা রীতিমত স্লথ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

পূর্ব উপকূলের কাছাকাছি আরও একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। যা মৌসুমী বায়ুর অগ্রগতিতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমে বর্ষা অনিশ্চিত। আরব সাগরে তৈরি হওয়া যেকোনও ঘূর্ণিঝড়ই মৌসুমী বায়ুকে মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে বাধা দেয়।

ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে পশ্চিমী বায়ু প্রতিরোধ্য। যদি বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী ব্যবস্থা তৈরি হয় তাহলে মৌসুমী বায়ু পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মত দেশে মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে পারে।

মৌসুমী ব্যবস্থা সক্রিয় হলে দেশের পূর্বাঞ্চলে বাতাসের গতিপ্রবাহ পূর্ব দিকে পরিবর্তিত হবে, যা এখন পর্যন্ত ঘটেনি।

আইএমডির সিনিয়র বিজ্ঞানী আর কে জেনামানির মত অবশ্য অন্য। তিনি বলেছেন বিপর্যয়ের কারণে বর্ষা ধীরে ধীরে সক্রিয় হচ্ছে। মৌসুমী বায়ুর রাস্তা পরিষ্কার করে দিচ্ছে।

বর্ষা এই সমস্ত সিস্টেমের জননী, এবং আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড় সবসময় বর্ষাকে ব্যাহত করে না। ঘূর্ণিঝড়টি একটি ভাল ক্রস-নিরক্ষীয় প্রবাহ প্রদান করেছিল, এইভাবে বিভিন্ন এলাকায় বর্ষার অগ্রগতিতে সহায়তা করে।