ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে তার প্রভাবেই ঝোড়ো বৃষ্টি শুরু হয়েছে ওডিশার বিভিন্ন এলাকায়।
শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ(Cyclone Jawad) এখন গভীর নিম্নচাপে (deep depression) পরিণত হয়েছে। তবে তার প্রভাবেই ঝোড়ো বৃষ্টি (Heavy rains) শুরু হয়েছে ওডিশার বিভিন্ন এলাকায়(parts of Odisha)। সাইক্লোন জাওয়াদের প্রভাবে পুরীর সমুদ্র সৈকতেও ভারি বর্ষণ চলছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সি-বিচ থেকে সব পর্যটকদের সরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। ফলত খাঁ খাঁ করছে পুরীর সৈকত।
এই সাইক্লোন বেলা ১২টা থেকে ২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে গেছে এবং এটি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে, গোপালপুর থেকে ৯০ কিলোমিটার, পুরী থেকে ১২০ কিলোমিটার এবং পারাদ্বীপ থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরে ছিল। বিকেলে এটি পুরীতে সর্বাধিক প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এটি ওডিশা উপকূল বরাবর উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং মধ্যরাতের দিকে একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে।
ওডিশার বেশিরভাগ জেলা থেকে বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। গঞ্জাম, খুরদা, পুরী, কেন্দ্রপাড়া এবং জগৎসিংহপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গঞ্জাম জেলার খালিকোটে ১৫৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, তারপরে নয়াগড় (১০৭.৫ মিমি), ছত্রপুর (৮৬.৬ মিমি) এবং ভুবনেশ্বর (৪২.৩ মিমি)।
রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে এবং ঘূর্ণিঝড়ের অবশিষ্টাংশ পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে ধীরে ধীরে রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে স্থানান্তরিত হবে। গঞ্জাম জেলায় সর্বোচ্চ গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪৭.৮ মিলিমিটার। জগৎসিংহপুরে ৩৮.৩ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে, তারপরে কেন্দ্রপাড়া (৩৫.৭), খুরদা (৩৩), পুরী (২৫.৫), ভদ্রক (২১.৬), নয়াগড় (২১.৬), কটক (২০.৫)।
নুয়াপাদা, নবরংপুর এবং মালকানগিরি রাজ্যের একমাত্র জেলা যেখানে বৃষ্টিপাত হয়নি। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, রাজ্যের গড় বৃষ্টিপাত ছিল ১১.৮ মিমি। উড়িশার বিশের ত্রাণ কমিশন প্রদীপ জেনা জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ৬৮৮ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ গর্ভাবতী মহিলা। তাঁদের পাঠান হয়েছে পুরী হাসপাতালে। কটক, গঞ্জাম, জগৎসিংপুরের মত উপকূলীয় এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি চালান হচ্ছে। উপকূলবর্তী নিচে এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত এক হাজারেও বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। জাওয়াদের গতিবিধি আর শক্তির ওপর নজর রেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সবথেকে বেশি সতর্কতা জারি করা হয়েছে পুরী। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল।