মিজোরাম প্রশাসন জানিয়েছেন মঙ্গলবার সকাল ৬টার সময় রাজধানী আইজলের দক্ষিণাঞ্চলে মেলথুম ও হ্লিমেন এলাকার মধ্যে কাদা ধসের ঘটনা ঘটে।
শেষবেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল-এর ভয়ঙ্কর ছোবল। ঘূর্ণিঝড়ে রেমাল স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পরই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেই কারণে প্রবল বৃষ্টি উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে। তাতেই মিজোরামে ভয়ঙ্কর ভূমিধস। একটি পাথর খনির ধ্বংসাবশের নিচে চাপা পড়ে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও ধ্বংস্তূপে প্রচুর মানুষ আটকে রয়েছে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় উদ্ধার অভিযানও বাধা পাচ্ছে। যা সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মিজোরাম প্রশাসন জানিয়েছেন মঙ্গলবার সকাল ৬টার সময় রাজধানী আইজলের দক্ষিণাঞ্চলে মেলথুম ও হ্লিমেন এলাকার মধ্যে কাদা ধসের ঘটনা ঘটে। এখনও পর্যন্ত ১২টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে এখনও প্রচুর মানুষ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ে রয়েছে। উত্তর পূর্বের ক্ষতির কারণ হিসেবে রেমাল-ঘূর্ণিঝড়কেই চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে রেমাল-এর কারণে মিজোরামের আরও নানা স্থানেই ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
মিজোরামের মন্ত্রী কে সাপডাঙ্গা বলেছেন, 'আমরা মিজোরামের বিভিন্ন অংশ বাতাস আর বৃষ্টির কারণে ধ্বংসযজ্ঞের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। একাধিক এলাকায় উদ্ধারকাজ চলছে।' পুলিশ জানিয়েছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হয়েছে। মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা ত্রাণ কাজের জন্য ১৫ কোটি টাকা ঘোষণা করেছেন। যারা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের হাতে ৪ লক্ষ টাকা করে তুলে দেওয়া হবে। প্রবল দুর্যোগের কারণে মিজোরামে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল আর কলেজ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় বিপর্যয় বাহিনী নামান হয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে অসমেরও। ত্রিপুরা ও অসমকে দুর্যোগের কারণে সতর্ক করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল-এর পিছুপিছু আসছে বর্ষা, আজ কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া - বৃষ্টি উত্তরে
ঘূর্ণিঝড় রেমাল রবিবার রাতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরের মাঝখানে মোংলা বন্দরের কাছে ল্যান্ডফল করে। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। কখনও কখনও হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছে গিয়েছিল ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রাজ্যের একাধিক জেলায় প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ের দাপট দেখা গিয়েছিল দুই ২৪ পরগনা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। ঘূর্ণিঝড়় রেমালের তাণ্ডবে বাংলাদেশে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। ব্যহত হয়েছে জনজীবন।