এতদিন ধরে ত্রিপুরা সরকারের কর্মীর ২৫ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছিলেন। এ এবার তা বেড়ে দাঁড়াল ৩০ শতাংশ। বছর শেষে ডিএ বৃদ্ধির কারণে রাজ্যের কোষাগার থেকে অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে।
চলতি বছর দীপাবলির সময় কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করেছে । তারপর থেকে সেই পথে হেঁটে একাধিক রাজ্য সরকার রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য ডিএ বৃদ্ধি বা মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে। তাতে কেন্দ্রের পাশপাশি রাজ্যের সরকারি কর্মীরাও উপকৃত হয়েছে। সম্প্রতি ত্রিপুরার বিজেপি সরকার একধাক্কায় ৫ শতংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছে। ত্রিপুরা সরকারের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হচ্ছেন রাজ্যের প্রায় আড়াই লক্ষ কর্মী ও পেনশনভোগী। ১ নভেম্বর থেরেই ত্রিপুরা সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
এতদিন ধরে ত্রিপুরা সরকারের কর্মীর ২৫ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছিলেন। এ এবার তা বেড়ে দাঁড়াল ৩০ শতাংশ। বছর শেষে ডিএ বৃদ্ধির কারণে রাজ্যের কোষাগার থেকে অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে। সবমিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে ত্রিপুরারয় রাজ্য সরকারের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক কমে দাঁড়াল ২৩ শতাংশ। এবার থেকে সপ্তম বেতন কমইশনের আওতায় ত্রিপুরার সরকারি কর্মীরা ৩০ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন। প্রসঙ্গত ত্রিপুরায় ২০১৮ সালে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হয়েছিল। জানুয়ারি মাসে ফের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়বে। আবার অষ্টম পে কমিশন গঠনও করা হতে পারে দ্রুত। তাতে বেতন পরিকাঠামো আরও বাড়বে বলেও মনে করেছে অনেকে। আগামী বছরই অষ্টম পে কমিশন গঠন হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় সরকার ডিএ বৃদ্ধির করার পর একের পর এক রাজ্যই ডিএ বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু সম্পূর্ণ ব্যতীক্রমী ঘটনা ঘটছে এই রাজ্যে। কারণ এই রাজ্যে যেখানে ডিএ-র দাবি নিয়ে ক্রমাগত আন্দোলন চলছে সেখানে এখনও বাড়ান হয়নি ডিএ। ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার মামলাও করেছে সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু এই রাড্যে এখনও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে ১৪ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।