অশান্ত দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২, কাল থেকেই মিলবে ক্ষতিপূরণ, ঘোষণা কেজরির

  • হিংসা কবলিত উত্তর-পূর্ব দিল্লি
  • ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
  • শনিবার থেকেই দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ
  • সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

Asianet News Bangla | Published : Feb 28, 2020 12:34 PM IST

গত শনিবার থেকে হিংসার আগুনে জ্বলছে দেশের রাজধানী। সেই আঁচে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৪২ জন। হাসপাতালে চিকিৎসা দুই শতাধিকের বেশি মানুষ। আগুন দগ্ধ রাজধানীর কোনায় কোনায় এখন কেবল আতঙ্ক, মৃত্যু ও হাহাকার। শুক্রবার কিছুক্ষণের জন্য দিল্লিতে ১৪৪ ধারা শিথিল করা হলেও এখনও তটস্থ স্থানীয়রা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজধানী জুড়ে এখনও মোতায়েন রয়েছে বিশাল সংখ্যক ব়্যাফ। এই পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবারই ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জানিয়েছিলেন মৃতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা। যাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্যও ক্ষতিপূরণের ঘোষণা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেই ক্ষতিপূরণ শনিবার থেকেই দেওয়া শুরু হবে বলে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন কেজরিওয়াল। 

 

 

বৃহস্পতিবারই কেজরিওয়াল বলেছিলেন যাদের বাড়ি সংঘর্ষের ফলে পুড়ে গেছে তাঁরা পাবেন ৫ লক্ষ টাকা করে। আর যাদের বাড়ি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা পাবেন আড়াই লক্ষ টাকা। তবে আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা নগদ। আর সেই কাজ শুরু হচ্ছে শনিবার থেকেই। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালেন কেজরি। অন্যদিকে পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা ২-৩ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির তালিকা তৈরি করবে। এরপরেই ক্ষতির পরিমাণ অনুসারে চেক তুলে দেওয়া হবে বাড়ির মালিকদের হাতে।

 

 

দিল্লির ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রাণ তুলে দিতে বৃহস্পতিবারই মন্ত্রিসভার সহ্গে বৈঠক করেন কেজরি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, উত্তর দিল্লির কমিউনিটি সেন্টারগুলিতে গৃহহারাদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করেছে আপ সরকার। পাশাপাশি প্রয়োজনে অস্থায়ী ভাবে তাবু দিয়ে ঘর বানানোরও চিন্তাভাবনা রয়েছে দিল্লি সরকারের।

আরও পড়ুন: নবীন পট্টনায়েকের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে মুখোমুখি অমিত-মমতা, অধরাই থাকল এনআরসি-এনপিআর

আরও পড়ুন: শিথিল হল ১৪৪ ধারা, সরলেন পুলিশ কমিশনার, রাজধানীতে বড় কিছু ঘটেনি বলছে শাহের মন্ত্রক

এদিকে উত্তর পূর্বে দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় কমপক্ষে ৫০০টি গাড়ি অগ্নিদগ্ধ হয়েছে বলে তথ্য উঠে আসছে। আগুন লাগান হয়েছে ৭৯টি বাড়ি ও ৫২টি দোকানে। আগুন পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ৩টি ফ্যাক্টরি। এমনকি দাঙ্গাবাজদের রোশের হাত থেকে বাদ যায়নি ২টি স্কুলও। 

Share this article
click me!