কংগ্রেসের সভাপতির পদে আবারও ফিরিয়ে আনতে হবে রাহুল গান্ধীকে। রবিবার সন্ধ্যা আবরও সেই একই দাবি জানান দিল্লি কংগ্রেস। এদিন সন্ধ্যায় দিল্লি কংগ্রেস একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস করেছে, সেখানে দাবি করা হয়েছে, রাহুল গান্ধীকে জরুরি ভিত্তিতেই দলের প্রধান হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয়। এই রায়টি অন্যান্য রাজ্য মেনে নেবে বলেও আশা করা হয়েছে। আগেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল জুন মাসে বাংলা ও তামিলনাড়ুর নির্বাচনের পর দলের সভাপতি বেছে নেওয়া হবে।কিন্তু সেই পর্যন্ত দিল্লি কংগ্রেসের সদস্যরা যে অপেক্ষা করতে রাজি নয় তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁরা। দিল্লির কংগ্রেস সভাপতি অনিল চৌধুরী জানিয়েছে কংগ্রেস কর্মীদের অনুপ্রেরণা গিতে পারেন রাহুল গান্ধী। কৃষকদের ইস্যু থেকে জিএসটি-র ক্ষয়ক্ষতি -- তাঁর সমস্ত ভবিষ্যৎবাণী সফল হয়েছে। আর সেই কারণেই তাঁকে আবার কংগ্রেসের সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনার দাবি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এই বৈঠকে সিনিয়র নেতা গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, মুকুল ওয়াসিনিক ও পি চিদাম্বরমের অস্বস্তিকর মন্তব্য গুলিও উত্থাপন করা হয়েছে। আর সেখানে বলা হয়েছে,দলের বর্ষিয়ান নেতারাও চাইছেন দলের সর্বক্ষণের সভাপতি। আর সেই কারণেই সাংগঠনিক নির্বাচনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। প্রস্তাবটির মূল উদ্দেশ্যেই ছিল রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করা। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের দাবি ছিল মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতিগুলির সঙ্গে লড়াই করার জন্য রাহুল গান্ধী উপযুক্ত ব্যক্তি। কর্মীদের আস্থা ও মনোবল বাড়াতে তাঁর জুড়ি নেই।
রবিবার দিল্লির রাজীব ভবনে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির বৈঠক বলেছিল। সেখানেই দেশের বিশৃ্ঙ্খনা ও বিপজ্জনক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ও সেই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার জন্য রাহুল গান্ধীকেই দলের সভাপতি নিয়োগ করার দাবি করা হয়। সিনিয়র কংগ্রেস নেতা শক্তি সিংহ হোহিল বলেন কংগ্রেসের উচিৎ বিজেপি ও আম আদমি পার্টির ব্যার্থতার কথা তুলেধরে বুথ স্তর থেকেই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে ধরাসায়ী হওয়ার পরই ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই সময়ই তিনি ঘোষণা করেছিলেন দলের কর্মী হিসেবেই তিনি কাজ করে যাবেন। তারপর থেকেই দলের সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সনিয়া গান্ধী। কিন্তু অস্থায়ী সভাপতির পদ নিয়ে আর সন্তুষ্ট নন দলের প্রথম সারির একাংশ। আর সেই কারণে সাংগঠনিক নির্বাচনের দাবি উঠছে মাঝে মধ্য়েই।