সোমবার থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার লকডাউন। আর এই লকডাউনের মাঝেই গ্রিন, অরেঞ্জের পাশাপাশি কোথাও কোথাও রেড জোনেও খুলেছে মদের দোকান। আর দোকান খুলতে না খুলতেই চারপাশে বিশৃঙ্খলার ছবি ধরা পড়েছে। এক মাসেরও বেশি সময় পর দেশে খুলেছে মদের দোকান। আর তা সংগ্রহ করতে দোকান খোলার আগে ভোর থেকেই সুরাপ্রেমীর লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েছেন। কোথাও সেই লাইন এক কিলোমিটার পেরিয়ে গিয়েছে। সামাজিক দূরত্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নেশার জিনিস যোগার করতে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েন মদ্যপায়ী নাগরিকরা। দেশের সর্বত্রই প্রায় ধরা পড়েছে এই চিত্র। পরিস্থিতি সামলাতে কোথাও পুলিশকে মদের দোকান বন্ধ করে দিতে হয়, আবার কোথাও ভিড় সামলাতে হালকা লাঠিচার্জও করতে হয়। এই অবস্থায় মদের দোকানের ভিড় সামলাতে এক নতুন পদ্ধতি নিল দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার।
লকডাউনের দেশে রেশনের থেকেও লম্বা লাইল মদের দোকানে, সামাজিক দূরত্ব না মেনেই জমায়েত
করোনার সঙ্গেই এবার করতে হবে সংসার, লকডাউনে থাকা রাজধানীকে সচল করতে দাওয়াই কেজরির
কেন্দ্রকে চাপে ফেলে বড় ঘোষণা সনিয়ার, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার খরচ দেবে কংগ্রেস
মদের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। একলাফে রাজধানীতের সোমরসের দাম বাড়ানো হয়েছে ৭০ শতাংশ। মঙ্গলবার থেকেই মূল দামের ৭০ শতাংশ কর দিতে হবে ক্রেতাকে। দিল্লি সরকার যার নাম দিয়েছে 'স্পেশাল করোনা ফি'। সোমবার রাতেই এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে দিল্লি সরকার। যার ফলে সমস্ত ধরনের মদের সর্বোচ্চ খুচরো বিক্রয়মূল্যের উপর এক ধাক্কায় ৭০ শতাংশ 'স্পেশাল করোনা ফি' বসানো হল। এর ফলে মানুষের ভিড় একটু কমতে পারে বলে আশা কেজরি সরকারের। সেই সঙ্গে বাড়বে সরকারের রেভিনিউ।
লকডাউনের ফলে দিল্লির অর্থনৈতিক অবস্থা যে অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে তা আগেই শিকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গত বছর এপ্রিল মাসে দিল্লি সরকারের যেখানে রাজস্ব বাবদ আয় ছিল ৩,৫০০ কোটি টাকা সেটা চলতি বছর এপ্রিস মাসে মাত্র ৩০০ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় আবগারি দফতরের অতিরিক্ত রাজস্বের দিকেই ভরসা করছেন কেজরি। তাই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা যাচ্ছে।
দিল্লি থেকে তিনি লকডাউন তুলে নিতে চান বলে আগেই জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। সেই মত বেশ কিছু ছাড়ও দিয়েছে দিল্লি প্রশাসন। কিন্তু সোমবার মদের দোকানগুলি খুলতেই সেখানকার ভিড় দেখে রীতিমতো উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মদ-সহ অন্যান্য দোকান খোলার ব্যাপারে অনেক শর্ত দিয়েছিল দিল্লি সরকার। কিন্তু মদের ক্ষেত্রে কোনও শর্তই মানতে চাননি ক্রেতারা। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায় তাদের। তার পরেই ক্ষুব্ধ কেজরিওয়াল ঘোষণা করেন, নিয়ম না মানলে লকডাউনের ছাড় তুলে নিতে বাধ্য হবে দিল্লি সরকার।