২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ভারতের ইতিহাসের অন্যতম এক স্মরণীয় দিন। এদিনই রাত ৮টায় বিমুদ্রাকরণ বা নোটবন্দির ঘোষণা করেছিলেন।
ভারত সরকার আত্মবিশ্বাসী ছিল এই পদক্ষেপ ভারতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কিন্তু আদৌও এই নোটবাতিলের সিদ্ধান্তে ভারত সরকারে কোনও লাভ হয়েছিল কীনা তা নিয়ে দ্বিমত রয়ে গেছে। তবে সম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, নোটবন্দির তিন বছর পর মানুষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। নোট বাতিলের তিন বছর পূর্তিতে সারা দেশের ৫০ হাজার মানুষকে নিয়ে এই সমীক্ষা চালান হয়েছিল।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর থেকে ভারত সরকার বাতিল করে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। নোট বাতিলের ফলে হয়রানির স্বীকার হতে হয় দেশের আম জনতাকে। এটিএম ও ব্যাঙ্কগুলির সামনে চোখে পড়ে লম্বা লাইন। নোটবাতিলের আতঙ্ক কেড়ে নেয় প্রাণও। ব্যাঙ্কের কাছে ১৫.৪১ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে ফিরে এসেছিল ১৫.৩১ লক্ষ কোটি টাকা, যা ছিল মোট পরিমাণের ৯৯.৩ শতাংশ। কেবলমাত্র ১০,৭২০ কোটি টাকা ফিরে আসেনি ব্যাঙ্কগুলির কাছে।
নোটবাতিলের সময় সরকার ঘোষণা করে কালোটাকা রুখতেই তাদের এই পদক্ষেপ। যদিও কংগ্রেস সহ বিরোধিরা বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছিল। তাতে অন্যতম মুখ ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনবছরের বর্ষপূর্তিতেও নোট বাতিলের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সনিয়া গান্ধীও। এর ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
নোট বাতিলের জন্য অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের উপার্জনের হার কমেছে বলে মনে করেন দেশের একটা বিশাল সংখ্যক জনতাও। সম্প্রাতিক সমীক্ষাও তেমনটাই ইজ্ঞিত করছে। তবে এই সিদ্ধান্তে প্রত্যক্ষ কর আদায়ের পরিমাণ যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি ভারতীয় অর্থনীতিতে কালো টাকার পরিমাণ কমেছএ বলে দাবি করে আসছে মোদী সরকার।