কিছু বিরোধী সাংসদ এই চিঠি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, এটা নির্বাচনী আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের মানুষকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠিয়েছেন। এতে বেশ ক্ষুব্ধ বিরোধী নেতারা। একে আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে ব্যাখ্যা করেছেন। আসলে, প্রধানমন্ত্রী মোদী হোয়াটসঅ্যাপে জনগণের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়ে 'উন্নত ভারত' গড়তে জনগণের সমর্থন চেয়েছেন।
কিছু বিরোধী সাংসদ এই চিঠি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, এটা নির্বাচনী আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর এমন একজন ব্যক্তির 'এক্স' পোস্টকে ট্যাগ করেছেন যিনি প্রধানমন্ত্রীর চিঠিটি বিদেশে বসবাসকারী লোকদের পাঠানোর বিষয়ে গোপনীয়তার বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।
প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতারা
শশী থারুর জিজ্ঞাসা করেছিলেন, 'শাসক দলের পক্ষপাতদুষ্ট রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য নির্বাচন কমিশন কি সরকারি যন্ত্রপাতি এবং সরকারি ডেটার এই ধরনের নির্লজ্জ অপব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করবে?' কংগ্রেস নেতা মণীশ তেওয়ারিও 'এক্স'-এ হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পোস্ট করেছেন যাতে তিনিও যুক্ত ছিলেন।
'আপনি আমার মোবাইল নম্বর কোথা থেকে পেয়েছেন?'
তিওয়ারি বলেন, 'এই অবাঞ্ছিত হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজটি গত রাত ১২.০৯ মিনিটে এসেছিল। এটি ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রক থেকে এসেছে বলে মনে হচ্ছে। এটা কি আদর্শ আচরণবিধি এবং গোপনীয়তার অধিকার উভয়েরই লঙ্ঘন নয়?’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘মন্ত্রক আমার মোবাইল নম্বর কীভাবে পেল? কোন ডাটাবেসে তারা অননুমোদিতভাবে প্রবেশ করছে?'
‘নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে হবে’
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সাকেত গোখলে অভিযোগ করেছেন যে গত দু'দিনে এই 'উন্নত ভারত' হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাটি মোদী এবং বিজেপিকে প্রচার করে শুধু ভারত থেকে নয়, সারা বিশ্বের লোকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।