সিপিআইএমএল প্রধানের কাছে বিজেপি-ই এক মাত্র রাজনৈতিক ‘শত্রু’। তাই জোট যদি হয় সেখানে মমতার হাত ধরতে তার কোনও আপত্তিউ নেই বলে এদিন ফের একবার স্পষ্ট করলেন তিনি।
আসন্ন নির্বাচনকে(Upcoming Lok Sabha Elections) পাখির চোখ করে গোয়া, ত্রিপুরা, অসম, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে সংগঠন গড়ে তুলতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল-কংগ্রেস(Trinamool)। এমনকী আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী জোটের প্রধান মুখ যে মমতা হতে পারেন সেই সম্ভাবনাও একদমই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এদিকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে বিরোধী জোটকে শক্তিশালী করতে সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata banerjee)। এদিকে মমতার দিল্লি সফরেই আগেই বিরোধী জোট নিয়ে বড় বার্তা দিতে দেখা গেল সিপিআইএমএল(CPIML) লিবারেশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্যকে(Dipankar Bhattacharya)।
সিপিআইএমএল প্রধানের কাছে বিজেপি-ই এক মাত্র রাজনৈতিক ‘শত্রু’। দীপঙ্করের মতে, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর এই সরকার দেশের জন্য বিপর্যয়। ২০২৪-এ সেই বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষা করা দরকার। এর এই জন্য সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে একটা ব্যাপকতম জোট দরকার। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক জন শক্তিশালী নেতা। তৃণমূল একটা শক্তিশালী দল।’’ তাই জোট(CPIML-Trinamool Alliance) যদি হয় সেখানে মমতার হাত ধরতে তার কোনও আপত্তিই নেই বলে এদিন ফের একবার স্পষ্ট করলেন তিনি।
আরও পড়ুন- ‘নিখোঁজ’ বিজেপি বিধায়ক, বেনামী পোস্টার ঘিরে জোরদার রাজনৈতিক তর্জা বাঁকুড়ায়
এদিকে চলতি বছর বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই এমএল-তৃণমূল সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছিল। এমনকী সিপিএমকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেও অতি বামেদর NO VOTE TO BJP প্রচারাভিযানের ভূয়সী প্রশংসাও করতে দেখা যায় মমতা বন্দোপাধ্যয়কে। সেই সময় থেকেই সম্পর্কে মধুরতা ক্রমেই বাড়ছিল দীপঙ্কর-মমতার। এবার সরাসরি জোটের প্রস্তাব দেওয়ায় জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দীপঙ্করের সাফ দাবি দেশ থেকে মোদীর অপশাসনের অবসান ঘটাতে তিনি বা তাঁর দল যে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরতে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করবে না।
এদিকে তৃমমূল-সিপিএম জোট নিয়ে মাঝে বিস্তর জল্পনা শোনা যায়। এমনকী বিজেপিকে ঠেকাতে জোটের প্রতি সদর্থক বার্তা দিতে দেখা যায় বিমান বসুদেরও। যদিও সে জল্পনায় এখন খানিক ছেদ পড়েছে। এদিকে আদর্শগত ভাবে বামেদের সঙ্গে তৃণমূলের বিস্তর ফারক রয়েছে। কিন্তু সংসদীয় রাজনীতির ময়দানে দুই শিবির যদি এক হয় তাতে বিজেপির উপর চাপ যে অনেকটাই বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে। এদিকে মমতার দিল্লি সফরের আগে দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের এই বার্তা বিশেষ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।