বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থানের পর সোমবার গভীর রাতে ভারতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে হিন্দন এয়ারবেসে অভ্যর্থনা জানানোর পর এনএসএ অজিত দোভাল তার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন।
সোমবার বাংলাদেশ ইস্যুতে সিসিএস বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অবহিত করেছেন। সিসিএস-এ ভারতের উপর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থানের পর সোমবার গভীর রাতে ভারতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে হিন্দন এয়ারবেসে অভ্যর্থনা জানানোর পর এনএসএ অজিত দোভাল তার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির অবনতির পর ভারত সরকারও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির প্রায় ৪০৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ভারত প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা।
সিসিএস মিটিং ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী-
সন্ধ্যায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং এনএসএ অজিত ডোভাল প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। দুজনেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অবহিত করেন। এরপর সিসিএস সভা ডাকা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি, দেশে এর প্রভাব এবং ভবিষ্যতের কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ছাড়াও এনএসএ অজিত ডোভাল-সহ অনেক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় শেখ হাসিনা-
বাংলাদেশ ছাড়ার পর সেখান থেকে সামরিক বিমানে ভারতে পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা। এখানে বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে অবতরণের পর তিনি সেনা ও বিমান বাহিনীর কমান্ডোদের নিরাপত্তায় অবস্থান করছেন। তিনি এখান থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সেনাবাহিনী সেখানে কমান্ড নেয়। সোমবার বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা দেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।